বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় মাস ছয়েক। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তাও প্রায় তিন মাস।
মাস না পেরোনোর আগেই আবারও বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকরা। এদিন কয়েকজন পরিচালককে তদ্ন্ত প্রতিবেদন পড়ে শুনিয়েছেন পাপন। বিশ্বকাপের তদন্ত প্রতিবেদনে চমকপ্রদ কিছু নেই বলে দাবি বিসিবি সভাপতির।
তিনি বলেন, ‘কনক্লুসিভ মানে আমি আপনাদেরকে বলি, এখানে যে জিনিসটা ছিল উনারা বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটা কমিটি করা হয়েছিল, ওদের কাছ থেকে কথাবার্তা শুনে তাদের কিছু ফাইন্ডিংস, সাজেশন বা রেকমন্ডেশন দিয়েছে। সেই জিনিসগুলো আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, ওখানে এমন কোনো তথ্য নেই, যেটা আসলে আমরা জানি না বা আপনারা জানেন না। ’
‘এরকম না যে... মানে কী আসতে পারে পারফরম্যান্স খারাপের জন্য? এটা যদি যে কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় সে বলতে পারে। তবে উনারা যে পরামর্শগুলো দিয়ে দিয়েছেন, ওই কাজগুলোও শুরু হয়ে গেছে। ’
বিশ্বকাপ তদন্ত প্রতিবেদন সামনে না এলেও এ নিয়ে কিছু খবর গণমাধ্যমে এসেছে। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জন্য দুই পরিচালককে দায়ী করা হয়েছে, বলা হচ্ছিল এমন। তবে তেমন কিছু প্রতিবেদনে নেই বলছেন বিসিবি সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে যেটা বললাম আমি, আমাকে এই রিপোর্টটা দিয়েছে। এখানে কোনো পরিচালক তো দূরে থাক...এরকম কোনো লাইনও নেই। একটা শব্দও নেই। এখন রিপোর্ট একটা হবে, এরকম তো প্রতিদিনই রিপোর্ট হচ্ছে। আমাকে যে রিপোর্টটটা দিয়েছে ওখানে কিচ্ছু নেই। ’
‘কিন্তু আজকে আমি জালাল ভাই, খালেদ মাহমুদ সুজন এবং আরও কয়েকজন পরিচালকের সামনে পুরো রিপোর্টটা পড়ে শুনিয়েছি; উনাদের জিজ্ঞেস করেছি দেখেন কোথায় কী আছে। উনারা দেখলো কিচ্ছু নেই। এখানে এর বাইরে কিছু থাকলে আমার কিছু করার নেই। ’
‘আজকে আমাকে কে যেন পাঠালো আকরাম খানের বক্তব্য, আমি তাকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠালাম। আকরাম লিখেছে ফেক নিউজ ভাইয়া। এখন আমি কী করবো? আমি তো আকরামকে অবশ্যই বিশ্বাস করবো। ফেক নিউজ করলে আমরা কী করবো। যে পরিমাণ নিউজ জেনারেট হয়, আমাদের কাজ কী শুধু এগুলোর উত্তর দেওয়া। এটা তো সম্ভব না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম