একপ্রান্ত আগলে থাকলেন কুশল মেন্ডিস। আরেকদিকে বাংলাদেশ উইকেট নিলো নিয়মিত।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করেছে সফরকারীরা।
টস জিতে বল করতে নেমে বাংলাদেশকে আগের ম্যাচের মতো এবারও দারুণ শুরু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। প্রথম ওভারে কেবল ২ রান দেন তিনি। এর মধ্যে শেষ বলে এলবিডব্লিউয়ের জন্য রিভিউ নেন, যদিও শেষ অবধি সফল হতে পারেননি।
উইকেটের জন্য স্বাগতিকদের অপেক্ষা করতে হয় চতুর্থ ওভারের প্রথম বল অবধি। তাসকিন আহমেদের করা গুড লেন্থের বলে মিডউইকেটে দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ১২ বল খেলে তিনি করেন কেবল ৮ রান।
পরে ওই ওভারের বাকি পাঁচ বলে তিনটি বাউন্ডারি হজম করেন তাসকিন। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪১ রান করে শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের পরের উইকেট এনে দেন রিশাদ হোসেন। তার বলে লং অফে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১২ বলে ১২ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস।
একপ্রান্ত আগলে তখনও রান করে যাচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এর মধ্যে হাসরাঙ্গার উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হন তিনি। হাসারাঙ্গার সঙ্গে ৩১ বলে ৫৯ রানের জুটি ভাঙে মেন্ডিসের।
হাসরাঙ্গাকে ফেরানোর পরও উদযাপন করেননি মোস্তাফিজ। কারণ দিনটি তার জন্য একদমই সুখকর ছিল না। নিজের প্রথম তিন ওভারে ৩৪ রান দেন তিনি। সেঞ্চুরি ছোঁয়ার সুযোগ থাকলেও কুশলকে সেটি করতে দেননি তাসকিন। তার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন লঙ্কান ব্যাটার। ৬টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৫ বলে ৮৬ রান করেন তিনি।
১৮তম ওভার করতে এসে একটি চার ও ছক্কা হজম করলেও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফিরিয়ে দেন রিশাদ। পরে শেষ অবধি ১৮০ ছুতে পারেনি লঙ্কানদের রান। ৮ বলে ১৯ রান করে শেষ বলে রান আউট হন শানাকা। ৭ রানে অপরাজিত থাকেন সামাবিক্রমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ