ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নিশাঙ্কা-আসালাঙ্কার ফিফটি, উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৪
নিশাঙ্কা-আসালাঙ্কার ফিফটি, উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ

ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা পরে আরও চাপে পড়ে যায় দলীয় ৫০-এর আগে আরও দুই উইকেটের পতনে। কিন্তু সেখান থেকে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও মিডল অর্ডার ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কার ফিফটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সফরকারীরা।

অন্যদিকে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ আছে উইকেটের খোঁজে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।

লক্ষ্য তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কা শুরুতেই ধাক্কা খায়। আভিশকা ফার্নান্দোকে দ্বিতীয় বলে বিদায় করেই শুরুটা করেন শরিফুল ইসলাম। পরে নিজের প্রথম ওভারে তাসকি ফেরান গুরুত্বপূর্ণ উইকেট কুশল মেন্ডিসকে। চারে নামা সাদিরা সামাবিক্রমাও সুবিধা করতে পারেননি। শরিফুলের বলে হারান উইকেট।  

ফার্নান্দোর বিদায়ের পর ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। দ্বিতীয় উইকেটে ২৯ বলে তারা গড়েন ৪১ রানের জুটি। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলে কুশলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন। মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক ফেরেন ১৩ বলে ১৬ রান করে।  

চারে নেমে সামারাবিক্রমা টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। শরিফুলের অফ সাইডে দেওয়া ডেলিভারি স্কয়ার-অফে মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ফেরেন স্রেফ ১ রান করে। সেখান থেকেই লড়াই শুরু করেন নিশাঙ্কা ও আসালাঙ্কা। চাপের মুখে ৫৮ বলে ফিফটি করেন নিশাঙ্কা। এরপর মাত্র ৫০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন আসালাঙ্কা।  

ব্রেকথ্রুর খোঁজে টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিংয়ে আনেন তাইজুল ইসলামকে। তাতেও কাজ না হলে আনা হয় সৌম্য সরকারকে। কিন্তু ফল মেলেনি।

এর আগে আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করেছে বাংলাদেশ।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে ডাক মেরে ফিরেছিলেন লিটন দাস, তিনি ফেরেন এদিনও। স্কয়ার লেগে দুনিথ ভেল্লালগের হাতে ক্যাচ দেন মাদুশাঙ্কার বলে। সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কার এবারের সফরে তিনবার মাদুশাঙ্কার বলে আউট হন লিটন।

এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। ৭২ বলে তাদের ৭৫ রানের জুটি ভাঙে শান্ত ফিরলে। আগে দু দফা বাঁচলেও এবার আর রক্ষা হয়নি। মাদুশাঙ্কার বল ছাড়বেন কি না নিশ্চিত ছিলেন না শান্ত, এর মধ্যেই বল ব্যাট ছুয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪০ রান করেন শান্ত।  

এদিকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য সরকার। তিনি খেলছিলেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। কিন্তু হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইপ করেন সৌম্য, কিন্তু তার ক্যাচ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঝাঁপিয়ে ধরেন মাদুশাঙ্কা। ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ বলে ৬৮ রান করেন সৌম্য। হাসারাঙ্গার ওই ওভারেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্টাম্পিং হন শূন্য রানে।  

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টা শুরু করেন মুশফিকুর রহিম, তার সঙ্গী ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু ২৮ বলে ২৫ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান মুশফিকুর রহিম। ১৮ বলে ১২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজও ফিরলে চাপ কিছুটা বাড়ে।

পরে তানজিম হাসান সাকিব সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়কে। ৬২ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। হাফ সেঞ্চুরি তোলা হৃদয় পরে হাত খুলতে শুরু করেন। শেষ দুই বলে ছক্কা হাঁকানো হৃদয় ১০২ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ইনিংস শেষ করে আসা তাসকিন আহমেদ ১০ বলে ১৮ রান করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৪
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।