প্রথম ম্যাচে গোল্ডেন ডাক। পরেরটিতে দুই বল বেশি খেললেও রান ওই শূন্যই।
তার বদলে ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন জাকের আলি অনিক। লম্বা সময় ধরে তিন ফরম্যাটে দলের সঙ্গী লিটনকে কেন বাদ দেওয়া হলো শেষ ওয়ানডে থেকে? এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
বিসিবির পাঠানো বার্তায় তিনি বলেন, ‘যেহেতু সিরিজটা চলছে, সেখানে পরিবর্তনের খুব বেশি সুযোগ ছিল না। তবে নতুন বলে খুবই অধরাবাহিক হওয়ার কারণে আমরা লিটন দাসকে এই স্কোয়াডের সঙ্গে আর রাখছি না। আপনারা হয়তো জানেন যে লিটন কুমারের পরও দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান তামিমকে। যারা ওপেন করতে পারেন। তারা ওপেনিং রোলেই খেলে থাকেন। এবং সৌম্য সরকার, আরেকজন ওপেনার আছেন। ’
‘তো কাজেই লিটন দাসকে যখন স্কোয়াডে আমরা অন্তর্ভুক্ত করলাম না। ন্যাচারালি সে জায়গাতে কোনো নতুন ওপেনার সংযোজনের প্রয়োজন অনুভব করিনি। ইতোমধ্যে দুটি অপশন আছে, যার মধ্যে থেকে একটি আমাদের কোচ ও অধিনায়ককে বেছে নিতে হবে। ’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে ৬৮ রান করেন জাকের। টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে মাঠে নামেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। প্রথম ম্যাচে ৩১ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান। তবে পরের ম্যাচেই গাজী টায়ার্স ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৪৮ বলে অপরাজিত ৭৬ রান করেন জাকের। ওই পুরস্কারই পেয়েছেন তিনি।
জাকেরের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে লিপু বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই কোচ ও অধিনায়কের মতামত নিয়েছি। আমরা দেখেছি লিটনের পরিবর্তে দলে যদি মিডল অর্ডারে কাউকে সংযোজন করা যায়। কারণ সেখানে একটা গ্যাপ আছে। সেখানে আমরা জাকেরকে মনে করেছি উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে উপযুক্ত হবেন। তিনি সাদা বলে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন, রান করেছেন। ডিপিএল এখন চলছে, ওখানেও রান করছেন। ’
‘তিনি মাল্টিপল রোল করতে পারেন। মিডল অর্ডারেও উপরের দিকে খেলতে পারেন। আবার ফিনিশারের ভূমিকাও পালন করতে পারেন। আজকাল ক্রিকেটে কনকাশনের একটা ঝুঁকি থাকে। সে কারণে একটা সফট কোশন দেওয়ার জন্য আমরা মনে করেছি, টিম ম্যানেজম্যান্টকে লিটনের বদলে জাকেরকে সংযোজন করলে দলের ভারসম্য অনেক ভালো থাকবে। কারণ তৃতীয় ম্যাচটা ডে-নাইট হচ্ছে না, এটা সকাল দশটায় শুরু হচ্ছে। মানে পুরো দিনের ম্যাচ। সে আলোকে আমরা মনে করেছি জাকের আলি মোস্ট ডিজার্ভিং ক্যান্ডিডেট। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ