দুই ইনিংসেই গল্পটা প্রায় একই রকম। শুরুতে উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।
প্রথম ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ৮০ বল খেলে ৪৭ রান করেন তিনি। রান পান ৯ ও ১০ নম্বর ব্যাটারও। শরিফুল ২১ বলে ১৫ ও খালেদ ২৮ বলে ২২ রান করেন। তাদের এমন পারফরম্যান্সের উদাহরণ শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির ব্যাটিং কোচ থিলিনা কান্দাম্বি।
তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে সকালেও কথা বলেছি, বুঝিয়েছি তাদের ব্যাটিং এফোর্টটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তোমরা দেখেছো, বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ রান করেছে, তারা ১৩০টার মতো বলও খেলেছে। আমি এটা তাদের কাছে উদাহরণ হিসেবেও তুলে ধরেছি, চেষ্টা করেছি আত্মবিশ্বাস দেওয়ার। ’
বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে কান্দাম্বি বলেন, ‘এমন কখনো কখনো হয়। দিনটা যখন শুরু হয়েছে, প্রেক্ষাপটটা একদমই ভিন্ন ছিল। তারা আমাদের এমন শক্তিশালী ফাইটব্যাক আশা করেনি। এটা হয়তো একটা কারণ। বাংলাদেশ সাধারণত অনেক লড়াই করে, তারা সেটা করতে না পারায় আমি কিছুটা অবাক হয়েছি। ’
দ্বিতীয় দিন শেষে অবশ্য খুব ভালো একটা অবস্থায় ছিল না শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান ছিল তাদের। ওখান থেকে দলটি ৪১৮ রান করে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর কী ধরনের পরিকল্পনা করেছিল শ্রীলঙ্কা?
উত্তরে দলটির ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘আমরা আসলে খুব বেশি কথা বলিনি পরিকল্পনা নিয়ে। আজকে ফ্রেশ হয়ে ফিরতে চেয়েছি আর সকালে আমাদের ভাবনাগুলো বলেছি খেলোয়াড়দের। আমাদের ভালো ব্যাপার হয়েছে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ক্রিজে ছিল, তখন বাকি ব্যাটাররা বুঝতে পেরেছে তাকে সাহায্য করতে পারলেই আমরা ভালো অবস্থায় থাকবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম