গত বছরখানেক ধরে দুর্দান্ত পারফর্ম করছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ভারতের বিপক্ষে সমতা নিয়ে সিরিজ শেষ করে।
কিন্তু একেবারেই হতাশ করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা। কোনো ম্যাচেই নূন্যতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি। দলের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ হয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
বুধবার মিরপুরে ম্যাচশেষে তিনি বলে, ‘১০ শতাংশও না (প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স)। কারণ আমি নিজেও পুরোপুরি অবাক। কারণ গত ৬ মাসে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, এটা একেবারেই অমন না। পুরো দল ব্যর্থ। দু একটা দিকে ভুল হলে তবুও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু পুরো দল ভিন্ন ধরনের ক্রিকেট খেলছে। মনে হচ্ছে যে ব্যাকফুটে রাখছে, মনে হয় যে সামর্থ্যের ১০ ভাগও খেলতে পারিনি। ’
‘প্রস্তুতি অনেক ভালো নিয়েছি। অনুশীলনে এক ধরনের মেন্টালিটি নিয়ে করছেন, এসে আরেকভাবে অ্যাপ্লাই করছেন, তখন কঠিন হয়ে যায়। কোচ বলেন বা অধিনায়ক হিসেবে বলেন, যখন দেখি খেলোয়াড় আত্মবিশ্বাসী, প্রস্তুতি ম্যাচে রান করছে, অনুশীলনে নিখুঁত ব্যাটিং করছে, এরপর যখন ভিন্নভাবে খেলছে—তখন আর কিছু করার থাকে না আমাদেরও। প্রস্তুতিতে সমস্যা ছিল বলে মনে হয় না। সামর্থ্যের এতটুকু দিয়েও খেলতে পারিনি আমরা। ’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স ছিল বেশি হতাশাজনক। তিন ম্যাচের কোনোটিতেই ১০০ রানও করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। অধিনায়ক বলছেন, নেতিবাচক মানসিকতার কারণে হতে পারে এমন।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে যখন ১০০-এর নিচে আউট হয়ে গেলাম, তখন থেকে সবার মধ্যে ছিল যে কঠিন হয়ে যাবে, কঠিন হয়ে যাবে। ব্রেনে এটা ঢুকে গেছে। না হলে দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট অনেক ভালো ছিল। তারাও ব্যাটিং করছে, আমরা কেন করতে পারব না। ’
‘খেলোয়াড়ের মন বা মস্তিস্কের ব্যাপারটি বুঝতে পারব না। তবে অনেক সময় নেতিবাচক ব্যাপার চলে আসে। যদি ভালো শুরু না পায়, তখন মনে করে যে, “না, আমার হচ্ছে না। ” যখন প্রথম ম্যাচে করতে পারেনি রান, পরের ম্যাচে পারেনি, তখন কিন্তু নিজে থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায়। সেখান থেকে অনেকে ফিরে আসতে পারে, অনেকে পারে না। আমি বলব মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ