রোববার রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা। এতে বিসিবির গঠনতন্ত্রের দুটি ধারা সংশোধন করা হয়েছে।
তবে এজিএমের পর স্পষ্ট করেই বিসিবি জানিয়েছে, ওই পথে যাচ্ছে না তারা। মূলত তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রমগুলোকে গতিশীল করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা হিসেবে ক্রিকেটের ভেতরই থাকতে হবে।
এর বাইরে বিসিবি টিভি আনার জন্য তারা কাজ করছেন। এফডিআর, বন্ড কেনার মতো ঝুঁকিহীন বিনিয়োগগুলোও করবে তারা। কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করা অথবা শেয়ার কেনার কোনো সম্ভাবনাও নাকচ করেছে বিসিবি।
প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অর্থনৈতিক লেনদেন ও ব্যাংকিং যে কার্যক্রম, এগুলোতে আরও গতিশীলতা আনার জন্য এবং আমাদের লিগ্যাল অ্যাডভাইজ অনুযায়ী এই পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে; যেমন আমাদের ব্যাংকিং কার্যক্রমে..আপনারা জানেন যে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কমপ্লাইন্সেস পূরণ করতে হয়; যেকোনো অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে। মূলত এসব ক্ষেত্রে যেসব ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনা করা হয়, সেগুলোর আলোকেই এই দুইটা অনুচ্ছেদে আমাদের সংশোধনী আনা হয়েছে। ’
‘বিষয়টা একটা মিসলিডিং ইনফরমেশন (বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হওয়া) আমরা বলব। কারণ আমাদের বুঝতে হবে কোম্পানি ফরমেশন এবং কোনো কোম্পানির যে শেয়ার সেটা শেয়ার মার্কেটে দেওয়ার মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে। আমাদের মূলত যে বিসিবি টিভি করার যে একটা পরিকল্পনা আছে। ওই বিসিবি টিভি করতে গিয়ে আমাদের...যেহেতু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশের ক্রিকেটের গভর্নিং বডি। ক্রিকেট নিয়ে আমাদের কাজ, এর বাইরে যে এসমস্ত কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করার জন্য একটা লিগ্যাল ফ্রেম ওয়ার্কের মধ্যে করতে হবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। এজন্যই সংশোধনীগুলো করা হয়েছে। ’
বিসিবি টিভি কেমন হবে, এ ব্যাপারেও অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। এমনকি স্যাটেলাইট টেলিভেশন হবে কি না, এ ব্যাপারেও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি বিসিবি সভাপতি। তিনি জানিয়েছেন, মূলত অন্য চ্যানেলগুলো যেসব খেলা দেখাবে না; সেগুলোই বিসিবি টিভিতে সম্প্রচার করতে চায় বিসিবি।
বাংলাদেশ সময় : ২০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস