ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিকের ‘আকাশ-পাতাল’ তফাৎ দেখেন মুমিনুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৪
ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিকের ‘আকাশ-পাতাল’ তফাৎ দেখেন মুমিনুল

চট্টগ্রাম থেকে: একসময় ছিলেন টেস্ট অধিনায়ক। তার অধীনে ছিল উন্নতির ছাপও।

মুমিনুল হকের কথার তাই মূল্যায়নও বেশ। ম্যাচ শেষের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে চলে এলেন তাই। তার কথা শুনতে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে যাওয়ার তাড়াও তাই বেড়ে গেলো অনেক।  

পুরো দল যখন মুড়ে আছে ব্যর্থতায়, তখন একটু-আধটু রান আসছে মুমিনুলের ব্যাট থেকে। এ অবস্থায় জুনিয়র সতীর্থদের জন্য ঢাল হলেন মুমিনুল। তবে তার কাছে প্রথমে প্রশ্ন গেল, তারকা ক্রিকেটারদের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচ না খেলা নিয়ে। এর উত্তরে মুমিনুল শোনালেন আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের তফাৎ।  

তিনি বলেন, ‘আমি চর্চার ভেতরে থাকি...আমার জন্য ও একজন জুনিয়র খেলোয়াড়ের মধ্যে তফাৎ আছে। আমি ৬১টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। এ কারণে ম্যাচের পরিস্থিতিগুলো আমি বুঝি, জানি আমি কোন সময় কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়। কখনো পারি। কখনো পারি না। শুনতে খারাপ লাগবে। ’

‘কিন্তু আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও টেস্ট ম্যাচ খেলার মধ্যে অনেক পার্থক্য। আকাশ পাতাল তফাৎ। আপনারাও জানেন। আমিও জানি। সবাই জানে। এটা অজুহাত নয়। আমি নিজেও জাতীয় লিগ খেলি। আমি কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয় না, এখানে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়। আমার কথা হয়তো অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমি সততার জায়গা থেকে কথাগুলো বলছি। ’ 

মুমিনুল হক টেস্টের জন্য বিশেষায়িত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও তাকে দেখা যায় নিয়মিত। কিন্তু বাকিদের মধ্যে কি একইরকম নিবেদন দেখেন? মুমিনুল বলছেন, এখনকার তরুণরা টেস্টের ব্যাপারে আগ্রহ বেশ ভালো।  

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দেখি (নিবেদন)। এখন যারা আছে সবাই টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি নিবেদিত। সত্যি কথা বলি, ফল না এলে অনেক কিছুই মনে হয়। কিন্তু এখন যে তরুণ দলটা আছে, তাদের টেস্ট খেলার প্রতি খুবই আগ্রহ, খুবই নিবেদিত। যারা আছে সবাই জাতীয় লিগে নিয়মিত খেলে। ’

‘ওদের একটা জিনিস ভালো, ওরা অনেক নিবেদিত। ওদের মধ্যে ক্ষুধা অনেক বেশি। জয় আর দিপু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড় হওয়া কিন্তু এত সহজ নয়। ওদের মধ্যে সেই নিবেদন সবসময় দেখি। ওরা সেট হয়ে আউট হওয়ার পরেও, ৫০ রান করে আউট হলে ড্রেসিংরুমে দেখলে বোঝা যায় আসলে ওর ক্ষুধা আছে কী নেই। এই জিনিসগুলো ওদের ভেতর আছে। ওদের নিবেদনে কোন সমস্যা নেই। ওরা যত টেস্ট খেলবে, ততো অভিজ্ঞ হবে, ততো ভালো খেলার সুযোগ বেশি থাকবে। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৯৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।