তরুণ ভারতীয় পেসার মায়াঙ্ক যাদব। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে আইপিএলের মঞ্চে আবির্ভাবেই ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার গতিতে বল করে চমকে দিয়েছিলেন।
এবার বিরাট কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকেও গতির ঝড়ে কুপোকাত করলেন মায়াঙ্ক। রান আটকে রাখার ক্ষেত্রেও নিজের সামর্থ্যের জানান দিলেন তিনি। আর তাতে ২৮ রানের সহজ জয় তুলে নিল লক্ষ্ণৌ।
আসরের ১৫তম ম্যাচে আজ আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৮১ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল লোকেশ রাহুলের দল। জবাবে ঘরের মাঠ এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ১৫৩ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে বেঙ্গালুরু। এবারের আসরে এই প্রথম কোনো দল অলআউট হলো।
লক্ষ্য তাড়ায় নামা বেঙ্গালুরু মায়াঙ্কের ঝড়ের সামনে পড়ে যায়। যদিও ওপেনিং জুটিতে ৪০ রান তুলেছিলেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি। ১৬ বলে ২২ রান করে কোহলি বিদায় নেওয়ার পর পথ হারায় বেঙ্গালুরু। পরের ওভারেই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক ডু প্লেসিও (১৯)। এরপর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আসেন মায়াঙ্ক। পর পর দুই ওভারে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
মায়াঙ্কের গতির সামনে দাঁড়াতেই পারেননি অস্ট্রেলিয়ার দুই বিধ্বংসী ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিন। ১৫১ কিলোমিটার গতির বলে ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে দেন মায়াঙ্ক। তার শর্ট বলের গতি সামলাতে না পেরে ক্যাচ তুলে দেন ম্যাক্সওয়েল। রানের খাতাও খুলতে পারেননি অজি ব্যাটার।
এরপর মায়াঙ্কের গতির কাছে পরাস্ত হন আরও এক অজি ব্যাটার। ১৪৭ কিলোমিটারের বলটা ধুঁকতে থাকা ক্যামেরন গ্রিনের (৯) স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারানো বেঙ্গালুরু এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এখানেও মায়াঙ্কের অবদান অনেক। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের মধ্যে বলার মতো রান করেছেন কেবল মহিপাল লোমরোর। কিন্তু তার ১৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংস বেঙ্গালুরুর জয় নিশ্চিত করতে যথেষ্ট হয়নি। বরং শেষদিকে রান তুলতে হিমশিম খেয়ে হেরেছে বড় ব্যবধানেই। বল হাতে লক্ষ্ণৌয়ের নাভিন-উল-হক ২টি উইকেট নিয়ে রেখেছেন পার্শ্ব-নায়কের ভূমিকা।
এর আগে ওপেনার কুইন্টন ডিক কক ও নিকোলাস পুরানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় লক্ষ্ণৌ। ৫৬ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলার পথে ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান দক্ষিণ আফ্রিকার ডি কক। আর শেষদিকে ২১ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় ব্যাটার পুরান। অবশ্য দুজনেই ক্যাচ মিসের কারণে জীবন পেয়েছেন। পরে সেই সুযোগ দুজনেই কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে।
বল হাতে বেঙ্গালুরুর সবচেয়ে সফল বোলার ম্যাক্সওয়েল। ৪ ওভারে ২৩ রানে দিয়ে এই পার্ট-টাইম অফ স্পিনার নিয়েছেন ২ উইকেট।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে দল জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মায়াঙ্ক যাদব। আগের ম্যাচেও ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। জিতেছিলেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। এই জয়ে তার দল লক্ষ্ণৌ উঠে এলো শীর্ষ চারে। ৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট তাদের। শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালস তিন ম্যাচেই জিতে অর্জন করেছে ৬ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৪
এমএইচএম