নাজমুল হোসেন শান্ত দেখে ফেলেছেন মুদ্রার দু পিঠ। কয়েক মাস আগেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জেতার আনন্দে ভেসেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে।
লঙ্কানদের বিপক্ষে হারের পর থেকেই আসছে প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকার কথাও। যদিও শান্ত মানেনি সেটি। ঘরে ও বাইরে মিলিয়ে এ বছর বাংলাদেশ খেলবে আরও ১০টি টেস্ট। আপাতত অবশ্য বাংলাদেশের ব্যস্ততা রঙিন পোশাকে। এর মাঝে টেস্টে ভালো করতে বোর্ডের কাছে শান্তর কি চাওয়া?
বুধবার চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা কোন সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে সেখানে যদি ‘এ’ দল পাঠাতে পারি তাহলে সবচেয়ে কার্যকরী হবে। যারা শুধু টেস্ট খেলছে বা যারা এক-দুটি সংস্করণ খেলে, ওরা যদি আগে গিয়ে এক-দুটি ম্যাচ খেলতে পারে, তাহলে কিন্তু প্রস্তুতিটা খুব ভালো হবে। ওই উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে ধারনা হবে। যারা তিন সংস্করণে খেলে তাদের জন্য কঠিন। ’
‘হ্যাঁ, তাদের ওই নেট অনুশীলনের মাধ্যমেই মানিয়ে নিতে হবে। এই সিরিজটা যেমন খেললাম দুই দিনের বিরতিতে। যারা সাদা বলের ক্রিকেট খেলছে, তাদের জন্য কঠিন। তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। যারা শুধু টেস্ট খেলছে, তাঁরা যদি যাদের সঙ্গে খেলব সে দেশে আগে ‘এ’ দল পাঠাতে পারি, ঘরে খেলি বা ঘরের বাইরে, তাহলে প্রস্তুতি আরেকটু উন্নতি হবে। ’
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচের পার্থক্যের কথা বলে গিয়েছিলেন তিনি। এ জায়গায় উন্নতির জায়গা দেখছেন অধিনায়ক শান্তও।
তিনি বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, হ্যাঁ, যদি উইকেটটা আরেকটু ভালো হয়, যে রকম কন্ডিশনে আমরা খেলব, যে চ্যালেঞ্জগুলো আমরা সামলাবো, তা হলে ভালো। কিন্তু আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলো এখানে পাই, তা আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাই না। ’
‘আমরা খেলোয়াড়েরই হয়তো…আমরা আমাদের জায়গা থেকে যদি কিছু জিনিস যুক্ত করতে পারি, যে চ্যালেঞ্জটা আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সামলাচ্ছি, তাহলে অবশ্যই ভালো। হ্যাঁ, যত ম্যাচ খেলব ততো উন্নতির কিছু না কিছু জায়গা থাকেই। ’
বাংলাদেশের এখন টেস্ট নিয়ে বিনিয়োগ আগের চেয়ে বেড়েছে। এই ফরম্যাট খেলার জন্য সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ফিও দেওয়া হয় ক্রিকেটারদের। কিন্তু এখানে পারফরম্যান্সের সবচেয়ে বেহাল দশা। বাজে পারফরম্যান্সের পর ক্রিকেটারদের মধ্যে কি অপরাধবোধ কাজ করে?
শান্তর উত্তর, ‘অপরাধবোধের জিনিসটা এই শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না। কিন্তু প্রতিটা খেলোয়াড়ের খারাপ করার পরে ওই খারাপ লাগাটা কাজ করে। এবং কীভাবে আরও ভালো করতে পারি দলের জন্য, ওই জিনিসগুলো সবসময় প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের মধ্যে থাকে। একটা খেলোয়াড় আরেকটা খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলাপ করে। এটার সঙ্গে এমন না যে ম্যাচ ফি আমি বেশি পেলাম বা কম পেলাম। এগুলো নিয়ে চিন্তা খুব একটা খেলোয়াড়রা করে না। কিন্তু প্রত্যেকটা খেলোয়াড় শতভাগ চেষ্টা থাকে যে কীভাবে আমি দলকে ভালো কিছু দিতে পারে। ’
‘একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বলে। আরেকটু কীভাবে আমরা ভালো করতে পারি। আরেকটু কীভাবে আমরা উন্নতি করতে পারি এই জিনিসগুলো সবার মধ্যে থাকে। যখন খারাপ খেলি, এমনকি যখন ভালো খেলি তখনও চিন্তা থাকে কীভাবে আমরা আরেকটু ভালো খেলতে পারি। তো ওই খারাপ লাগাটা সবার মধ্যে থাকে। ওই জায়গা থেকে বের হওয়ার জন্য কী কী দরকার কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার; ওই জিনিসগুলো শতভাগ আমার মনে হয় সবাই অনুশীলনে দেয়। ’
বাংলাদেশ সময় :
এমএইচবি