সুনীল নারিনের তাণ্ডবের পর রাঘুবানসির ফিফটিতে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ পায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাব দিতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে কেবল লড়েন রিশভ পন্থ ও ট্রিস্টান স্টাবস।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ষষ্ঠদশ ম্যাচে ভিসাখাপাত্নামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। যেটি আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে এবারের আসরে ২৭৭ রান নিয়ে শীর্ষস্থানে আছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০১৩ আসরে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে তিনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নেমে খুব বেশি লড়াই করতে পারেনি দিল্লি। ১৬৬ রানেই সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। হারতে হয় ১০৬ রানের ব্যবধানে। আর আসরে টানা তিন জয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে কলকাতা।
ফিল সল্ট ও নারিনের ব্যাটিংয়ে বিধ্বংসী শুরু পায় কলকাতা। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ২৭ বলে যোগ করেন ৬০ রান। তবে নরকিয়া এসে সল্টকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙে দেন। ১৮ রানে ইংলিশ ব্যাটার ফিরে গেলে তাণ্ডব চালাতে থালেন নারিন। তাকে সঙ্গ দেন রাঘুবানসি। এই দুজন গড়েন ৪৮ বলে ১০৪ বিধ্বংসী জুটি। স্রেফ ২১ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করা নারিন সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকলেও ৮৫ রানে উইকেট হারান। ৩৯ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ৭ ছক্কায়।
নারিন বিদায় নিলেও ব্যাট চালাতে থাকেন রাঘুবানসি। ২৫ বলে ফিফটি ছুয়ে তিনি অবশ্য উইকেট হারান ৫৪ রান করেই। চারে নামা আন্দ্রে রাসেলও ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন। ১৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি। শেষদিকে রিংকু সিংয়ের ৮ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ পায় কলকাতা।
দিল্লির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন নরকিয়া। দুটি উইকেট পান ইশান্ত শর্মা। ১টি করে উইকেট নেন খলিল আহমেদ ও মিচেল মার্শ।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দিল্লির দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ। দ্বিতীয় ওভারে ১০ রানে উইকেট বিলিয়ে দেন পৃথ্বী। আরেক ওপেনার ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। তিনে ও চারে নামা দুই ব্যাটার শূন্য রানে বিদায় নিলে বিপর্যয়ে পড়ে দিল্লি। তবে পঞ্চম উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন রিশভ পন্থ ও ট্রিস্টান স্টাবস। ৪৭ বলে ৯৩ রানের জুটিতে তারা দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান।
ফিফটি হাকিয়ে ৫৫ রানে পন্থ বিদাল নিলে ভেস্তে যেতে থাকে জয়ের আশা। পঞ্চাশ পূর্ণ করেন স্টাবসও। তবে তার পতন হয় ৫৪ রানে। শেষদিকে আর কেউই উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। কলকাতার হয়ে ৩ উইকেট পান বরুণ চক্রবর্তী ও আরোরা। দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৪
আরইউ/জেএইচ