কনুইয়ে চোট পেয়েছিলেন ইহসানউল্লাহ। সাধারণ চোট ভেবেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চিকিৎসা বিভাগ।
গত বছর এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকেই কনুইয়ে চোট পান ইহসানউল্লাহ। এরপর থেকে মাঠের বাইরেই আছেন তিনি। এখন অবশ্য কিছুটা উন্নতির দিকে আছেন তিনি, চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোপুরি সেরে ওঠার লড়াই। কিন্তু ভুল চিকিৎসার কারণে তার এই সেরে ওঠার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলেছেন তার পিএসএল দল মুলতান সুলতানসের মালিক আলী তারিন।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট 'ইএসপিএনক্রিকইনফো'-কে আলী তারিন জানান, ইহসানউল্লাহর কনুইয়ে যে চিড় ছিল, তা পিসিবির করানো প্রথম স্ক্যানে ধরাই পড়েনি। ওই সমস্যা নিয়েই জিম এবং বোলিং করেছেন ইহসানউল্লাহ। যে কারণে তার চোট আরও গুরুতর অবস্থায় চলে যায়। দ্বিতীয় স্ক্যানে অবশ্য চিড় ধরা পড়ে। কিন্তু ততদিনে ইহসানউল্লাহর চোটের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, পিসিবির অবহেলার কারণে ইহসানউল্লাহর ক্যারিয়ার হুমকিতে পড়ে যেত। এমনকি কমে যেত তার বোলিংয়ের গতিও। কিন্তু পিসিবির প্রধান চিকিৎসক সোহেল সেলিম দাবি করেছেন, কোনো অবহেলা করা হয়নি। তবে (স্ক্যানে চিড় ধরতে) দেরি হওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এমনকি সন্দেহ হওয়ায় তিনি নিজেই নাকি দ্বিতীয়বার স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন ইহসানউল্লাহর বিরুদ্ধেই।
সেলিমের দাবি, ইহসানউল্লাহ তার পরামর্শ অনুযায়ী লাহোরে পিসিবির ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে থাকননি। এমনকি পিসিবির অনুমোদন ছাড়াই বাইরের চিকিৎসকদের দিয়ে ফিজিওথেরাপি নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। অবশ্য ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেলিমের পরামর্শেই পরে বাইরে থেকে সার্জন এনে ইহসানউল্লাহর অস্ত্রোপচার করানো হয়।
পিএসএলের গত আসরে মুলতানের জার্সিতে খেলে নজর কাড়েন ইহসানউল্লাহ। ১৫.৭৭ গড়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নেন তরুণ ডানহাতি এই পেসার। যে পারফরম্যান্সে জায়গা করে নেন পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে। এখন পর্যন্ত তিনি একটি ও ওয়ানডে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। কিন্তু তার সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার এখন হুমকির মুখে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
এমএইচএম