ঝোড়ো ইনিংসে শাইনপুকুরকে শুরুতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিলেন জিশান আলম। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারলো না তারা।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শুরুতে ব্যাট করে জিশান আলমের ঝোড়ো ইনিংসে ২৬৪ রান করে শাইনপুকুর। ওই রান তাড়ায় নেমে ২২ বল হাতে রেখে জয় পায় শেখ জামাল।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে এদিন রীতিমতো ঝড় তোলেন দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারেই ১০১ রান তোলে কোনো উইকেট হারায়নি শাইনপুকুর। মাত্র ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জিশান আলম।
এই ব্যাটার লিস্ট এ ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি মিস করেন অল্পের জন্য। তাইবুর রহমানের বলে এলডিবব্লিউ হওয়ার আগে ৮ চার ও সমান ছক্কায় ৬১ বলে ৯৮ রান করেন তিনি। লেগ স্পিনার মেহেদী হাসান সোহাগের বলে আগেই আউট হন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আকবর আলী ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই সেভাবে রান করতে পারেননি। ৪ চার ৩ ছক্কায় ৮৩ বলে ৬৪ রান করেন আকবর। শেখ জামালের হয়ে ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাইবুর রহমান। দুটি উইকেট পান মেহেদী হাসান সোহাগ,জিয়াউর রহমান ও রবিউল ইসলাম।
রান তাড়ায় নেমে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি শেখ জামালকে। ২০ রানে ওপেনার সৈকত আলী ফিরলেও এরপর ফজলে মাহমুদের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন সাইফ হাসান। ৭৫ বলে ৬৭ রান করে নাহিদ রানার বলে সাইফ আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন ফজলে রাব্বি।
৬ চার ও সমান ছক্কায় ১১৯ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন রাব্বি। ৪২ বলে ৪০ রান করেন ইয়াসির আলী। ১২ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে তিনে আছে শেখ জামাল। তাদের টপকে যাওয়া মোহামেডান মিরপুরে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে।
এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে রনি তালুকদারের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান করে মোহামেডান। ওই রান তাড়া করতে নেমে ২৮৪ রানের বেশি করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক।
মোহামেডানকে বড় রানের ভিত গড়ে দেয় মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও রনি তালুকদারের জুটি। দুজনের ১৩১ রানের জুটিটি ভাঙেন রুবেল হোসেন। ৭৭ বলে ৫০ রান করে তার বলে বোল্ড হয়ে যান অঙ্কন।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ১৩২ ছিল রনি তালুকদারের এতদিনের লিস্ট এ তে সর্বোচ্চ রান। এবার সেটিকে টপকে গেছেন তিনি দশ বছর পর। প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৮ চার ও ৯ ছক্কার ইনিংসে ১৩১ বলে ১৪১ রান করেছেন তিনি।
মোহামেডানের ইনিংস তিনশ ছাড়ানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মেহেদী হাসান মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিং। ৭ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসে ২৯ বলে ৫৩ রান করেন মিরাজ।
রান তাড়ায় নামা প্রাইম ব্যাংকের শুরুর দিকের ব্যাটাররা খুব বড় রান করতে পারেননি। ৭৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু। তবে শেষদিকে এসে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন শেখ মাহেদী ও সানজামুল ইসলাম।
৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৫ বলে ৬৪ রান করেন মাহেদী। তার আগেই আউট হয়ে যাওয়া সানজামুল ৩৫ বলে ৪৯ রান করেন। তাদের বিদায়ের পর আর বাকি তিন ব্যাটার মিলে করেন ১ রান। ম্যাচ হার নিশ্চিত হয় প্রাইম ব্যাংকের।
এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই টিকিয়ে রেখেছে মোহামেডান। ১২ ম্যাচে ৯ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে তারা, তাদের পয়েন্ট ১৮। সবার উপরে থাকা আবাহনী ১২ ম্যাচের সবগুলোতে জেতায় তাদের পয়েন্ট ২৪।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস