আবাহনীর ড্রেসিংরুমে উৎকণ্ঠা। পুরো টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচেও হারেনি তারা।
মঙ্গলবার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। ওই রান এক বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় আবাহনী। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে টানা ১৪ ম্যাচ জিতে শিরোপা নিশ্চিত করলো ক্লাবটি।
সবমিলিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২৩তম শিরোপা জিতলো আবাহনী। লিস্ট-এ মর্যাদা পাওয়ার পর পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। এর বাইরে একবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে দলটি।
ম্যাচের আগে খেলোয়াড় নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিল আবাহনী। ক্লাবটির ১০ ক্রিকেটার সুযোগ পান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের স্কোয়াডে। এদিন অবশ্য তাদের তিনজন চট্টগ্রামের ক্যাম্প থেকে এসে ম্যাচ খেলেছেন।
ম্যাচটিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ১৫ রানেই দলটি হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। সেখান থেকে সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান সাকিব আল হাসান। বিরতি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে এদিন প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নামেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডে না থাকা এই অলরাউন্ডার।
সৈকতের সঙ্গে সাকিবের জুটি ভাঙেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। ৫ চারে ৬৬ বলে ৪১ রান করা সৈকতের ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন তিনি। এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন সাকিব। তানজিম হাসান সাকিবের বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন তিনি।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৬৪ বলে ৪১ রান করে রান আউট হয়ে গেলে শেখ জামালের বড় রানের আশা ক্ষীণ হয়ে আসে। তবে দলটিকে আবারও জাগিয়ে তোলেন জিয়াউর রহমান। শেষদিকে রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি। ৮ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৮ বল খেলে ৮৫ রান করে ইনিংস শেষের দুই বল আগে আউট হন তিনি। আবাহনীর হয়ে তিন উইকেট করে নেন তানজিম সাকিব ও রাকিবুল হাসান।
রান তাড়ায় নেমে আবাহনীর দুই ওপেনার অল্পতে ফিরে যান। ১১ বলে ৬ রান করে সাকিবের শিকার হন সাব্বির হোসেন। ৪২ বলে ২১ রান করে শফিকুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ। এরপর অবশ্য ১০৩ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে রাখেন এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
কিন্তু এ দুজনের বিদায়ের পর ম্যাচ কিছুটা কঠিন হয়ে যায় আবাহনীর জন্য। ৮০ বলে ৬৭ রান করে সাইফ হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হন বিজয়। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করে তাইবুরের শিকার হন আফিফ। তাদের বিদায়ের পর ঠাণ্ডা মাথায় এক প্রান্ত আগলে থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন।
শেষ ওভারে ৯ রান দরকার হলে সবগুলো রানই আসে তার ব্যাট থেকে। আগের ওভারে তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসানের মারা বাউন্ডারিতে অবশ্য কিছুটা সহজ সমীকরণ হয়। ৪টি ছক্কায় ৫৪ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম