ট্রাভিস হেড নাকি অভিষেক শর্মা। কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন, সে নিয়েই যেন প্রতিযোগিতা হচ্ছিল।
কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার এমন ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে রীতিমত বিস্মিত। হেড ও অভিষেক আগে ব্যাট করলে হায়দরাবাদের রান ৩০০ ছাড়িয়ে যেত বলে মনে করেন তিনি। অবশ্য আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হারের পর এমন কিছুরই আভাস দিয়েছিলেন কামিন্স। অধিনায়কের কথা মাটিতে ফেলতে দেননি হেড ও অভিষেক। এমনকি টস হেরে পরে ব্যাট করতে নেমেও নয়।
আইপিএল ইতিহাসে কোনো দলেরই তাড়া করে জয়ের ক্ষেত্রে ওভারপ্রতি ১৫ রান তোলার নজির ছিল না। সেখানে হায়দরাবাদ রান তোলে ওভারপ্রতি ১৭.২৭ করে। এমন ব্যাটিং দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। কেননা এমন দৃশ্য টিভিতেই দেখে এসেছেন, বাস্তবে যে এর সম্মুখীন হতে হবে তা ভাবতেই পারেননি। মাত্র ৪৫ মিনিটেই তাদের দেওয়া লক্ষ্য পাড়ি দিয়ে ফেলেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার।
৩০ বলে সমান ৮টি করে চার ও ছক্কায় ৮৯ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হেড। মাত্র ১৬ বলেই ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। ২০ বলের নিচে আসরে এটি তার তৃতীয় ফিফটি। অন্যদিকে ২৮ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন অভিষেক।
রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে এর আগে অবশ্য উল্টো দৃশ্য দেখা গিয়েছে। আগে ব্যাট করতে নেমে ৬৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌ। যদিও এরপর উইকেট হারায়নি তারা। নিকোলাস পুরান (৪৮*) ও আয়ুশ বাদোনির (৫৫*) অবিচ্ছিন্ন ৯৯ রানের জুটিতে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। কিন্তু সেটা যে লড়াই করার জন্যও যথেষ্ট হবে না তা কে ভেবেছিল। হায়দরাবাদের হয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। এছাড়া একটি উইকেট নিয়েছেন কামিন্স।
এই জয়ে প্লে-অফের পথ আরও সুগম করল হায়দরাবাদ। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে তারা। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে লক্ষ্ণৌ। তাদের হারে এবারের আসর থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। ১২ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আটে আছে তারা। বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও সুযোগ নেই প্লে-অফে যাওয়ার।
বাংলাদেশ সময়ঃ ০০১৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
এএইচএস