কখনো চোট, কখনো বিসিবির বাধা; বেশ কয়েকবার আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েও যেতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। এ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনাও হয় নিয়মিত।
তবে বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন বলেন, ‘যে জিনিসটা চলে গেছে, সেটা তো আর নিয়ন্ত্রণে নেই। ইনশাআল্লাহ্ সামনে (আইপিএল) খেলব। যখন ফাঁকা সময় পাবো। শুধু আইপিএল নয়, এখন তো আরও অনেক লিগ আছে। ’
তাসকিন ছাড়পত্র না পেলেও ঠিকই আইপিএলে খেলে এসেছেন তার সতীর্থ পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এবার চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশেও নিয়মিতই সুযোগ মিলেছে তার। প্রশ্ন আসছে দুই ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে বিসিবির দুরকম নীতি নিয়ে।
তাসকিন এ নিয়ে বলেন, ‘নীতি প্রায় একই। হয়তো একেকজনের শরীরের ধরনের একেকরকম। এজন্য বোর্ডের চিন্তার জায়গা থাকে। এছাড়া ফাস্ট বোলার যাদেরই দেখছেন, সবাইকে কোনো না কোনো ইনজুরি ম্যানেজ করতে হচ্ছে। ’
‘হয়তো আমার শরীরের ধরন বা বোলিংয়ের ধরন ভিন্ন, এজন্য আমি এবার যেতে পারিনি। আমার তো টেস্টও খেলার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তের কাঁধের চোট ম্যানেজ করার জন্য আমি বিরতিতে গিয়েছি। হয়তো ভবিষ্যতে (আইপিএল) খেলব ইনশাআল্লাহ্। আফসোস নেই কোনো। ’
এবারের আইপিএলে চেন্নাইয়ে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছিলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু তাকে মাঝপথেই নিয়ে আসা হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলার জন্য। এর আগে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। তাকে আসার কারণ ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাসকিন।
তিনি বলেন, ‘আইপিএলে অনেক ভালো করেছে মুস্তাফিজ। যেহেতু ও এসেছে... আমার যতটুকু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারছি, ওকে আনার কারণটা হচ্ছে, দলের পরিকল্পনা ও কালচারের ক্ষেত্রে অবগত থেকে (বিশ্বকাপে) যেতে পারে। ’
‘এর সঙ্গে কয়েকটা দিন বিশ্রামের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারণ ও আমাদের মূল বোলারদের একজন। এটাই আর কী। অবশ্যই ওর ভালো আইপিএল গেছে এবং সেখান থেকে অনেক অভিজ্ঞতা নিয়েছে। আর আমরা যদি সবাই ফিট থাকি, ভালো ছন্দে থাকি তাহলে বোলিং থেকে ভালো কিছুই হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ