বিশ্বকাপের আগে বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রস্তুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেছে তারা।
প্রথম ম্যাচে রান তাড়া করে জেতে যুক্তরাষ্ট্র। পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১৪৪ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু ওই রান তাড়া করতে পারেনি তারা। ৩ বল আগেই অলআউট হয়ে গিয়ে হেরেছে ৬ রানে। এমন হারের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই হতাশার। আমরা এমনটা আশা করিনি। হারাটা অবশ্যই হতাশার। যেকোনো ম্যাচ হারাটাই হতাশাজনক। কেউই আশা করেনি দুইটা ম্যাচ আমরা হেরে যাব, অবশ্যই হতাশাজনক আমাদের জন্য। ’
‘কৃতিত্ব যুক্তরাষ্ট্র দলকে দিতে হবে তারা যেভাবে খেলেছে। এখানে আমরা বিশ্বকাপ খেলতে এসেছি। এটি আমাদের জন্য ওয়েক আপ কল হতে পারে। কারণ আমরা যেভাবে চেয়েছি সেভাবে খেলতে পারিনি। ’
যুক্তরাষ্ট্রকে হালকাভাবে নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে সাকিবের উত্তর, ‘আপনি তা বলতে পারেন। তবে আমার মনে হয় না। প্রথম ম্যাচে হয়তো আমরা যা চেয়েছি তা করতে পারিনি। পরের ম্যাচেও তা হলো। আমরা আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি। আমার মনে হয়নি পিচ এত খারাপ ছিল। আমরা ভালো ব্যাট করিনি। আমাদের আরও ভালো ব্যাট করা উচিত ছিল। ’
অনেকদিন ধরেই টপ অর্ডার ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারছেন না। জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর তারা ব্যর্থ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও। বৃহস্পতিবারও দুই ওপেনারের মধ্যে সৌম্য সরকার শূন্য ও তানজিদ তামিম আউট হন ১৫ বলে ১৯ রান করে। নাজমুল হোসেন শান্তও প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না।
কেন এমন হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আমি বলতে পারব না। এটার উত্তর আমার কাছে নাই। ’ এরপর তিনি বলেন, ‘আসলে এটা যদি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ধরে থাকি তাহলে আমাদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের আরও বেশি সেশন হওয়া দরকার ছিল। ফ্যাসিলিটি আরও বেশি থাকা দরকার ছিল। এগুলার কিছুই আমরা পাইনি। একদিন প্রপার নেট সেশন হয়েছে। যেখানে ব্যাটাররা পুরোপুরি সুযোগ পায়নি। এখানে দুই দিকেরই ব্যর্থতা আছে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১০৪৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
এমএইচবি