ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘খেলোয়াড়দের জন্য বড় সুযোগ’, বলছেন এইচপি প্রধান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
‘খেলোয়াড়দের জন্য বড় সুযোগ’, বলছেন এইচপি প্রধান

হাই পারফরম্যান্স ইউনিট এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মিত। তবে এবার তাতেও মিলছে ভিন্ন স্বাদ।

এইপির সঙ্গে জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটাররা যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়। স্বল্প ও দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট খেলার কথা রয়েছে তাদের।  

১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে ক্রিকেটারদের। বাবার অসুস্থতায় শেষ মুহূর্তে ন্যাথান হেরিটজ আসতে না পারায় এই সফরে হেড কোচ করা হয়েছে কোরি কোলমোরকে। পুরো দলের সঙ্গে বুধবার বিসিবিতে বসেছিলেন হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রধান নাঈমুর রহমান দুর্জয়।

বিসিবির এই পরিচালক এরপর মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘টুর্নামেন্ট ছাড়াও আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য একটা বড় সুযোগ। এখানে কিছু জাতীয় দলের যারা খেলছে, সেখানকার খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। কারণ, ২০২৭ এ আমাদের যে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সফর আছে, ওই খেলাটাও কিন্তু ডারউইনে হবে। তাদেরও একটা প্রস্তুতি। কারণ, অনেক সময় আমরা দেখি আমাদের নতুন খেলোয়াড় বা একেবারে প্রথমবার খেলতে গিয়ে একটা অচেনা পরিবেশে অভিষেক হচ্ছে। ’

‘তাই সে জিনিসগুলো যেন না হয়, তার কারণে কিন্তু আমরা এইচপির প্রোগ্রামে প্রত্যেক বছরই একটা সফর থাকে, কিন্তু এটা নতুন একটা ইক্লুশন এবং আমরা তাদেরকে জানিয়েছি যে আমরা ভবিষ্যতেও এটা চালিয়ে যেতে চাই, এ সিরিজটা। আসলে আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা। সেটাকে কাজে লাগিয়ে খেলোয়াড়রা তাদের ভবিষ্যতের জন্য দেশকে সার্ভিস দেওয়া জন্য তৈরি করবে, সেটাই আমরা আশা করি। ’

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অনেকদিন ধরেই ভালো করছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই ঝলকের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না পরের ধাপে গিয়ে। এ জন্য অনেক সময়ই দায়ী করা হয় বিসিবিকে। এই ধরনের সফর কি ঝরে পরা ক্রিকেটার কমাবে?

দুর্জয় বলেন, ‘তা তো অবশ্যই। কারণ, এখানে দুটা দিকই আছে। আমাদের যেমন, বোর্ডের পক্ষ থেকে আমাদের বয়সভিত্তিক পর্যায় পার হয়ে আসার পর কিন্তু এখন আরও দুটা তিনটা প্রোগ্রাম আমরা ইনক্লুড করেনি যে এরা যেন নিয়মিত এই প্রক্রিয়াে ভেতর থাকে। খেলোয়াড়দের ঝরে পড়া বা ওপরের লেভেলে কন্টিনিউ করতে না পরা, এটা কিন্তু আসলে দুই পক্ষের ব্যাপার। ’

‘খেলোয়াড়দের যেরকম সামর্থ্য বা ইনজুরি সমস্যা হয়ে যায়, সেটা কিন্তু ভিন্ন ইস্যু। কিন্তু আমরা চাচ্ছি যে আমাদের প্রক্রিয়াটা ঠিকঠাক হোক, আমাদের সুযোগ-সুবিধা বোর্ডের তরফ থেকে বৃদ্ধি করা এবং খেলার ভেতর থাকার যে সুযোগ সেটা আমরা ধরে রাখতে চাই। এজন্যই বললাম এ সুযোগগুলো কাজে লাগানোর দায়িত্ব খেলোয়াড়দের, আমরা শুধু তৈরি করে দিতে পারব। কিন্তু সেটা কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বা পরের ধাপে নেওয়া এই ফোকাস ধরে রাখা তাদের দায়িত্ব। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।