ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘এটা অবসরের সঠিক সময় নয়’, মনে করেছিল রিয়াদের পরিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৪
‘এটা অবসরের সঠিক সময় নয়’, মনে করেছিল রিয়াদের পরিবার

বিদায়টা বলেই দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আলোচনা-সমালোচনায় এই ফরম্যাটে ১৭ বছর পার করে দিয়েছেন তিনি।

এর আগেও কয়েকবার খারাপ ফর্মে থাকায় তার অবসর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল, তবে প্রতিবারই ফিরে এসেছেন রিয়াদ।  

এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের বিপক্ষে সিরিজটাই তার জন্য টি-টোয়েন্টিতে শেষ। এই সফরে যাওয়ার আগে মিরপুরে অনুশীলন করতেন টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা। ওই সময়ই অবসরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন বলে জানিয়েছেন রিয়াদ। যদিও শুরুতে পরিবারের সায় ছিল না বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

মঙ্গলবার দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ভারত সিরিজের অনুশীলন শুরুর সময়ই এসব নিয়ে আলোচনা করা শুরু করেছিলাম। পরিবার শুরুতে বোঝেনি, তারা ভেবেছিলো এটা সঠিক সময় নয়। আমি নানাভাবে পরিবারকে বুঝিয়েছি, এরপর তারা বুঝেছে। তারপর আমি বোর্ড সভাপতি এবং নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ’

‘আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময়। এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের কথা ভাবলে, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়। ’

কেনিয়ার বিপক্ষে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর। এখন অবধি ১৩৯টি ম্যাচ খেলে ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেট ও ২৩.৪৮ ২ হাজার ৩৯৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৪৬টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন রিয়াদ।

তার ক্যারিয়ারে কোনো আক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাহ আলহামদুলিল্লাহ, আমার কোনো আক্ষেপ নাই। আমার এক ফোঁটাও আক্ষেপ নাই কারণ বাংলাদেশ দলের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলা খুবই ভালো ব্যাপার। ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য। ’

‘আমি যতটুকু খেলেছি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, সম্ভবত ২০০৭ সালে আমার অভিষেক হয়েছে, আর এখন ২০২৪ সাল, ১৭ বছর। আমি জানি না কতটুকু ভালো করতে পেরেছি বা আমি কতটুকু করেছি দলের জন্য। কিন্তু আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি দলকে সেবা দিতে। ’

২০১৬ বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর খুব কাছাকাছি ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওই ম্যাচে ৩ বলে ২ রান করতে পারেনি তারা। তিন বলেই উইকেট যায়, এর মধ্যে ছিলেন রিয়াদও। ওই ম্যাচটিই তার ক্যারিয়ারের হতাশার বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সঙ্গে জানিয়েছেন সেরা মুহূর্তের কথাও।

তিনি বলেন, ‘হতাশাজনক মুহূর্ত বললে আমি বলবো ২০১৬ সালে ব্যাঙ্গালোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি। ওটা আমার অন্যতম হতাশার মুহূর্ত। সম্ভবত আমার জীবন বদলে দেওয়া মুহূর্ত। আমি মনে করি আমার জন্য অনেক বড় শিক্ষা ছিলো সেটা। আর সেরা মুহূর্ত সম্ভবত নিদাহাস ট্রফি। যে ম্যাচটা আমরা জিতলাম। ওটা আমার সেরা মুহূর্ত। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।