ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

 আইচ-মার্শালের সেঞ্চুরি, আল আমিন-মেহরবের পাঁচ উইকেট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
 আইচ-মার্শালের সেঞ্চুরি, আল আমিন-মেহরবের পাঁচ উইকেট

জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনে দুটি ম্যাচ শুরু হয়নি বৃষ্টির কারণে। দ্বিতীয় দিনে বাধা থাকলেও সবগুলো ম্যাচই শুরু হয়েছে।

এর মধ্যেই সেঞ্চুরি করেছেন মার্শাল আইয়ুব ও আইচ মোল্লা।  

এছাড়া একই ম্যাচে ভিন্ন দলের হয়ে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন আল আমিন হোসেন ও মেহরব হোসেন। এদিনই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নয় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ফরহাদ হোসেন।

সিলেটের একাডেমি মাঠে ঢাকা মেট্টোর মুখোমুখি হয়েছে বরিশাল বিভাগ। টস হেরে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪০৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা মেট্টো। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়েই ২২ রান করেছে বরিশাল।  

এদিন ঢাকা মেট্টোর হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ও আইচ মোল্লা। ১৫ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসে ১৯৯ বলে ১২৭ রান করে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট হয়েছেন মার্শাল। থ্রোয়ের সময় থ্রোয়ারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি, পরে বল তার ব্যাটে লাগলে তাকে এমন আউট দেন আম্পায়ার।  

২৫০ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ১২২ রান করে আউট হয়েছেন আইচ। মঈন খানের বলে আব্দুল মজিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন শামসুর রহমান শুভ। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালের হয়ে ৩ রানে আব্দুল মজিদ ও ১৯ রানে অপরাজিত আছেন ইফতেখার হোসেন।  

শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিলেটের মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে স্রেফ ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে সিলেট। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিনশেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করেছে ঢাকা।  

সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে আট নম্বরে নামা তানজিম হাসান সাকিবের ব্যাটে। ৫৭ বলে ৪২ রান করেন তিনি। ৫৩ বলে ২৮ রান আসে অধিনায়ক অমিত হাসানের ব্যাটে। ঢাকার হয়ে তিন উইকেট করে নেন এনামুল হক ও নাজমুল ইসলাম অপু। ৩৩ বলে ১৬ রান করে রনি তালুকদার ও ৪ বলে ১ রান করে সুমন খান তৃতীয় দিন শুরু করবেন ঢাকার হয়ে।

বগুড়ার শহীন চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়েছে স্রেফ ২১ ওভার। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান করেছে রংপুর। ৭৪ বলে ৩৭ রান করে খালিদ হাসান ও ৮ বলে ১ রানে অপরাজিত আছেন অনিক সরকার।  

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাজশাহীর মুখোমুখি হয়েছে খুলনা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ৪২৬ রান করে রাজশাহী। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৯৪ রানে অলআউট হয়ে গেছে খুলনাও।  

এ ম্যাচে রাজশাহীর হয়ে আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। এছাড়া ফরহাদ হোসেনের ৯৩ রান ও সাকিহির হোসেইন শুভ্রর ব্যাটে বড় সংগ্রহ পায় তারা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে স্রেফ চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে ৯ হাজার রান পূর্ণ করেন ফরহাদ হোসেন। ১৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।  

এই ম্যাচে খুলনার হয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন আল আমিন হোসেন। ২০ ওভারে ৯৬ রান খরচে পাঁচ উইকেট পান তিনি। দুই উইকেট করে পান আব্দুল হালিম ও শেখ মাহেদী হাসান। পরে অবশ্য খুলনা অলআউট হয়ে যায় অল্পতে।  

দলটির হয়ে দুজন ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি ছুয়েছেন। অমিত মজুমদার ১২৭ বলে ৫২ রান করেন, ৫৩ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন জিয়াউর রহমান। খুলনাকে অল্পতে অলআউট করার পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন মেহরব হোসেন। ১১ ওভার ২ বল হাত ঘুরিয়ে ৩৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট পান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।