ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অংশ নিতে নয়, লড়তে এসেছি : পরেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৪
অংশ নিতে নয়, লড়তে এসেছি : পরেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: টি-টোয়েন্টি’র বিশ্ব আসর। অভিষেক ম্যাচে মাঠে নেমে তুলে নেন দুর্দান্ত জয়।

আত্মবিশ্বাসে ভর করে উড়ছে এখন হিমালয় কন্যা। আনন্দে ভাসছে দেশটির ক্রিকেট ভক্তরাও। কিন্তু এ আনন্দের রেশ কতটা স্থায়ী হবে তা দেখা যাবে কাল। মঙ্গলবার স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে নেপাল। তাই বুকটাও যে দুরুদুরু করছে তা বুঝা গেল নেপাল অধিনায়ক পরশ খড়কার কথায়ও।

সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের কথা বললেন না সরাসরি। শুধু বললেন,‘আমরা কি করতে পারি তা দেখাতে চাই। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা খেলার চেষ্টা করবো। ’

রোববার হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে গ্যালারি ভর্তি দর্শকের অধিকাংশ ছিলো নেপালের। তাই ভিন দেশে হলেও জয়ের পেছনে আসল প্রেরণা এ সমর্থকরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে নিশ্চয় দাবার গুটি উল্টে যাবে। গ্যালারি ভর্তি দর্শক থাকবে বাংলাদেশের পক্ষে। মাঠে টাইগাররা লড়লেও মাঠের বাইরে থেকে এ সমর্থকরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনেকদূর। মাঠের বাইরের এ লড়াই কিভাবে মোকাবেলা করবে নেপাল? পরশ খড়কা বললেন,‘স্বাগতিক হিসেবে স্বাভাবিক এ সুবিধা তারা পাবে। এটা আমাদের জন্যও বড় সুযোগ। কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে মাঠে নামবো। তবে আমাদের প্রত্যকটা খেলোয়াড় তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে। ’

ধারাবাহিক ফর্মে থাকা হংকংকে ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী নেপাল। অধিনায়ক বললেন,‘কালকের খেলাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চ্যালেঞ্জও বটে। কিছুটা চাপও অনুভব করছি। কিন্তু এটি আমাদের জন্য বড় সুযোগ।

টি-টোয়েন্টিতে একটি বলও মুমেন্ট চেঞ্জ করে দিতে পারে। আমরা আমাদের ভালো ও ইতিবাচক খেলাটাই খেলতে চাই। ’

নেপাল অধিনায়ক বলেন,‘আমরা এখানে লড়তে এসেছি। শুধুমাত্র অংশ নিতে আসিনি। প্রত্যকেরই ভালোর খেলার তীব্র আকাঙ্খা আছে। আমরা ভালোভাবেই জানি কিভাবে জয় ছিনিয়ে আনতে হয়। ’

বিশ্ব আসরে খেলতে আসা নেপাল বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়নি কখনো। তবে অধিনায়ক বললেন,‘টিভি’র মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানকে চিনি। বাংলাদেশ অবশ্যই ভালো অবস্থানে আছে। তবে প্রথম দুটি ম্যাচ দু’দলই জিতেছি। বাংলাদেশ খুবই দক্ষ ও পরিশ্রমী দল। আমরা আমাদের ভালো খেলাটাই খেলতে চাই। ’

রোববার হংকংয়ের বিপক্ষে নেপালের টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরে অভিষেক ঘটেছে। ২০০৪ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে নেপালের অভিষেক ঘটে। ২০০৮ সালে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের পঞ্চম বিভাগে আইসিসি’র সহযোগী সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে খেলার সুযোগ পায়। ২০১০ সালে নেপাল পঞ্চম ডিভিশনের শিরোপা জয় করে।

২০১২ সালে চতুর্থ বিভাগ আর ২০১৩ সালের মার্চ মাসে তৃতীয় বিভাগ পার করে নেপাল এখন টি-টোয়েন্টি’র বিশ্ব আসরে। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলারও স্বপ্ন দেখছে দলটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।