মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে: শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেট হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।
অস্ট্রেলিয়া: ১৭৮/৮ ( ২০ ওভার )
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৭৯/৪ ( ২০ ওভার )
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ী ৬ উইকেটে
বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক জর্জ বেইলি।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে।
দলের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করতে আসেন অ্যারন ফিঞ্চ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। দলীয় ৩৩ রানে মারলন স্যামুয়েলস অ্যারন ফিঞ্চকে ১৬ (১১) রানে বোল্ড করেন। পরের ওভারে আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে সাজঘরে ফেরান স্যামুয়েলস বদ্রি। চারটি চারে ১৪ বলে ২০ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার।
দলীয় ৪১ রানেই শেন ওয়াটসন আউট হয়ে গেলে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেট কিছুটা চাপে পরে যায়। সাময়িক এই চাপ সামাল দেন জর্জ বেইলি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ১২ রান করা বেইলি আউট হয়ে গেলেও ম্যাক্সওয়েল ২২ বলে ৫ টি চার এবং ৩ টি ছয়ে করেন ৪৫ রান।
২৬ বলে ৩৫ রান করেন ব্রাড হজ। এছাড়া জেমস ফকনার ১৩ রান এবং ব্রাড হ্যাডিন ১৫ রান করলে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৭৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন স্যামুয়েল বদ্রি, মারলন স্যামুয়েলস এবং সুনীল নারাইন।
১৭৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্যাটিংয়ের সূচনা করতে আসেন ক্রিস গেইল এবং ডোয়াইন স্মিথ। প্রথম ওভারে মাত্র দুই রান নিলেও দ্বিতীয় ওভারে মাইকেল স্টার্কের বলে পরপর চারটি চার হাঁকান গেইল।
স্বরুপে ফেরার হুমকি দিয়ে গেইল-স্মিথ প্রথম তিন ওভার থেকেই তুলে নেন বিনা উইকেটে ৩৩ রান। ২৬ বলে দলীয় অর্ধ-শতক আসে ক্যারিবীয়দের। এরপরই স্ট্যাম্পের পিছনে মাইকেল স্টার্কের বলে ধরা দেন ডোয়াইন স্মিথ।
পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে ক্যারিবীয়রা এক উইকেটে ৬১ রান তুলে নেয়। আর প্রথম দশ ওভারে তুলে নেয় এক উইকেটে ৮৭ রান।
মাত্র ৩১ বল খেলে নিজের একাদশ অর্ধ-শতক করেন ক্রিস গেইল। তেরোতম ওভারে ম্যাক্সওয়েলের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৩৫ বলে ছয় চার আর দুই ছয়ে করেন ৫৩ রান।
দলীয় ১০৭ রানে লিন্ডন সিমন্স ২৪ বলে তিন চারে ২৬ রান করে আউট হন। আর দলীয় ১৩০ রানে মারলন স্যামুয়েলস ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
ডোয়াইন ব্রাভো দুই চার আর সমান ছয়ে ১২ বলে করেন অপরাজিত ২৭ রান। আর স্যামি দুই চার আর তিন ছয়ে মাত্র ১৩ বলে হার না মানা ৩৪ রান করেন।
অসিদের হয়ে ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
শেষ ওভারে ক্যারিবীয়দের দরকার ছিলো ১২ রানের। অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি শেষ ওভারের তিন ও চার নম্বর বলে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন দুই বল হাতে রেখেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৪
**অসি-ক্যারিবীয় লড়াই সমানে সমান
**ক্যারিবীয়দের চেপে ধরেছে অসিরা
** গেইলের ব্যাটে এগোচ্ছে উইন্ডিজ
**বিপজ্জনক গেইলকে ফেরালেন মুরহেড
**স্বরূপে গেইল
** শুরুতেই দেখেশুনে ব্যাটিং গেইল-স্মিথের
** উইন্ডিজকে ১৭৯ রানের টার্গেট দিল অসিরা
** দেড়শ’ পেরিয়ে হজ-ফকনারকে হারালো অসিরা
** শ’ পেরোলো অসিরা, সাজঘরে ম্যাক্সওয়েল
** ব্যাটিং বিপর্যয়ে অস্ট্রেলিয়া
** প্রথম উইকেটের পতন অসিদের