ঢাকা: ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে সাত উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের যুবারা। কলকাতার যাদবপুর ইউনিভার্সিটি মাঠে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দেয়া ১১৭ রানের লক্ষ্য ১৩.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়েই অতিক্রম করে স্বাগতিক দলটি।
দলের পক্ষে অপরাজিত ৫৯ রান করেন সরফরাজ খান। মাত্র ২৭ বলে ৯টি চার ও তিনটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। রিসবাহ পান্ত অপরাজিত ২৬ রান ও রিকি ভুই করেন ২০ রান।
দলীয় ৩৮ থেকে ৪২ এই চার রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। চতুর্থ উইকেটে রিকি ভুই ও সরফরাজ অবিচ্ছিন্ন ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
বাংলাদেশের হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ, শাওন গাজী ও সাঈদ সরকার একটি করে উইকেট নেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে পারেনি মেহেদি হাসানের দল। স্কোরবোর্ডে ১৩ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও পিনাক ঘোষ। তৃতীয় উইকেটে জয়রাজ শেখ ও নাজমুল হাসান শান্ত জুটি বেধে ৫৪ রান যোগ করেন। দলীয় ৬৭ রানে জয়রাজের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ভাঙে জুটিটি। স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ হতেই শূন্য রানে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬৮ রানে হারাতে হয় দলের চার ব্যাটসম্যানকে।
পঞ্চম উইকেটে জাকির আলীকে নিয়ে ২৮ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলান নামজুল হাসান। দলীয় ৯৬ রানে ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে নাজমুল হাসান বিদায় নিলে ছন্দপতন ঘটে টাইগার যুবাদের ইনিংসে। শেষ ২০ রানে যুবাদের পাঁচ উইকেট পড়লে ৩৬.৫ ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয় তারা।
মায়াঙ্ক ডাগার তিনটি উইকেট নেন। মহিপাল লমরর ও সুভাম মাভি নেন দুটি করে উইকেট। আভিষ খান ও এসকে আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।
ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও অংশ নেয় আফগানিস্তানের যুবারা। ফাইনালের আগে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দু’বার করে মুখোমুখি হয় মেহেদি হাসান মিরাজদের দল। আফগানিস্তানকে হারালেও ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, ২৯ নভেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর