ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

চট্টগ্রামে ঘুরবে তো রানের চাকা!

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
চট্টগ্রামে ঘুরবে তো রানের চাকা! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএলে এবার একচ্ছত্র দাপট বোলারদের। অথচ শুরুটা হয়েছিল মারকাটারি ব্যাটিং প্রদর্শনী দিয়েই।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৮৭ রান তুলেও জয় নিশ্চিত করতে পারেনি চিটাগং ভাইকিংস। পেরেরা-স্যামি ঝড়ে শেষ বলে জয় তুলে নেয় রংপুর। জমজমাট এক বিপিএলের আভাস দিচ্ছিলো আসরের ‘বিজ্ঞাপনী’ ম্যাচটি।

এরপর বিপিএলের ঢাকা পর্বে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে আরও ১১টি ম্যাচ। শুরুর সে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা থেমে গেছে শেষটায় এসে। শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতে আগে ব্যাট করা দলের স্কোরকার্ড দেখে বিরক্ত ও হতাশ হতে হয়েছে দর্শকদের। টানা চার ম্যাচের স্কোরলাইন যথাক্রমে ৮৯, ১০৯, ৯২, ৮২!
 
এতে বিস্মিত হয়েছেন ক্রিকেটাররাও। টসের আগে উইকেট বুঝতে গিয়ে বিভ্রান্ত হতে হয়েছে অধিনায়কদের। উইকেট দুর্বোধ্য থাকার কারণ বছরজুড়ে লাগামহীন ম্যাচ আয়োজন এ মাঠে। কিউরেটররা রান বাড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালালেও উইকেট এতোটাই ক্লান্ত যেন নিজেই নিজেকে বুঝতে পারছিল না! উইকেটের আচরণে সেটা প্রমাণও করেছে ম্যাচগুলোতে। এবারের বিপিএলে প্রায় প্রতিদিন একই উইকেটে হয়েছে দু’টি করে ম্যাচ। একটিতে রান হলেও হয়নি আরেকটিতে।

প্রথম পর্বে সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে রংপুর। সবচেয়ে কম তিনটি ম্যাচ খেলেছে বরিশাল। কুমিল্লা, ঢাকা, সিলেট ও চিটাগং খেলেছে চারটি করে ম্যাচ। ৬ দলের আসরে মাত্র ৬ জন ব্যাটম্যান একশ’র ওপরে রান তুলতে পেরেছেন প্রথম পর্ব থেকে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪২ রান ‍তামিম ইকবালের।

পরিসংখ্যান বলছে, ১২ ম্যাচে দু’দল মিলে রান হয়েছে ৩১৪৭। ম্যাচ প্রতি ২৬২.২৫, প্রতি ইনিংসে ১৩১। ওভারপ্রতি রান উঠেছে মাত্র ৬.৮৩ হারে! মিরপুরের উইকেটে রান করা যে কতোটা দূরুহ ছিল সেটা বলছে এ পরিসংখ্যানই।  

উইকেট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের অনুযোগ, আক্ষেপ হয়তো ফুরাবে সোমবার (৩০ নভেম্বর) থেকেই। এদিন থেকে টানা চারদিনে বিপিএলের আটটি ম্যাচ গড়াবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যাটিংবান্ধব উইকেটই হচ্ছে সেখানে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মো: সালাউদ্দিনের কাছে উইকেট দেখে মনে হয়েছে, রান উঠবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সোমবার সন্ধ্যার ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে সিলেট সুপারস্টারস। ‌আর দুপুরের ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে লড়বে বরিশাল বুলস। হাই স্কোরিং ম্যাচের প্রত্যাশাতেই আছেন সবাই।
 
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরাবরের মতো ম্যাচের চাপ কম থাকায় সহজেই ব্যাটিং উইকেটে রুপদান করা যাচ্ছে। এখান থেকেই উল্লম্ফন হতে পারে রানের চাকার। চলতি মাসের শুরুতে এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ওয়ানডে সিরিজের চারটি ম্যাচ। তারও এক মাস আগে হয়েছে জাতীয় লিগের (চারদিনের) অল্পকিছু ম্যাচ। আর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে জুলাইয়ে। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট ‍অনুষ্ঠিত হয় এখানে।
 
বিপিএলের আটটি ম্যাচ চট্টগ্রামে হওয়ায় সপ্তাহখানেক বিশ্রামে থাকছে  দেশের হোম অব ক্রিকেট। এ ফাঁকে প্রয়োজনীয় যত্নে তৃতীয় ধাপে হয়তো রানের চাকা ঘুরবে মিরপুরেও। বিপিএলে রানের চাকা ঘোরার শুরুটা হবে হয়তো চট্টগ্রাম পর্বেই। ০৬ ডিসেম্বর থেকে বিপিএলের তৃতীয় ধাপ গড়াবে মিরপুরে। ফাইনালসহ শেষ এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ১৪টি ম্যাচ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এসকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।