ঢাকা: দুই ইনিংসের শুরুতেই বোলারদের আধিপত্য চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বরিশাল বুলস শুরুর চাপ সামলে শেষ অবধি লড়াইয়ের পুঁজিই পায়।
এ রান তাড়া করতে নেমে শুরুর চাপে শেষ পর্যন্ত বিধ্বস্তই হতে হলো চিটাগং ভাইকিংসকে। ১৯.৫ ওভারে ১৩৭ রানে থামে চিটাগংয়ের ইনিংস। ফলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে তামিম ইকবালের দলকে হারতে হলো ৩৩ রানের ব্যবধানে।
এ নিয়ে বিপিএলে টানা তৃতীয় ম্যাচে হার দেখলো চিটাগং ভাইকিংস। ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানো চিটাগংয়ের নাঈম ইসলাম ও মোহাম্মদ আমির সপ্তম উইকেটে হাল না ধরলে দলের রান একশ পেরোনোই কঠিন ছিল। এ জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। ১২ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেন আমির। চিটাগংয়ের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এটি।
বরিশালের পেসার কেভিন কুপার তিনটি উইকেট দখল করেন। এছাড়া আল আমিন হোসেন নেন দুটি উইকেট। মোহাম্মদ সামি, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পান একটি করে উইকেট।
দলীয় ৪০ রানে ভাইকিংসের চার ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, কামরান আকমল , তিলকারত্নে দিলশান ও এনামুল হক বিজয় সাজঘরে ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে চিটাগং। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি দলটি। নাঈম-আমির জুটি কেবল হারের ব্যবধানই কমান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেনি বরিশালও। ১২ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। তবে শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লঙ্কান ক্রিকেটার সেকুগে প্রসন্ন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বরিশাল। ।
মাহমুদউল্লাহ সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। ৪৫ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। এছাড়া প্রসন্ন করেন ৩৬, মেহিদ মারুফ করেন ২৮ রান। শেষ দিকে কেভিন কুপারের ঝড়ো ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় বরিশাল।
মোহাম্মদ আমির ও জিয়াউর রহমান দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট দখল করেন শফিউল ইসলাম, এলটন চিগুম্বুরা ও তিলকারত্নে দিলশান।
** মাহমুদুল্লাহর দৃঢ়তায় লড়াইয়ের পুঁজি বরিশালের
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ৩০ নভেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর