ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মোশাররফের ঘূর্ণিতে হারলো চিটাগং

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
মোশাররফের ঘূর্ণিতে হারলো চিটাগং ছবি : শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৫তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংস এবং কুমার সাঙ্গাকারার ঢাকা ডায়নামাইটস। ঢাকার ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি চিটাগং।

ঢাকার বিপক্ষে হেরেছে ৪৫ রানের ব্যবধানে।

আগে ব্যাটিং করে ঢাকা ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে করে ১২১ রান। ১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মোশররফ হোসেনের দারুণ ঘূর্ণি আর মুস্তাফিজের অসাধারণ পারফর্মে ১৬.৫ ওভারে ৭৬ রান তোলে ভাইকিংস।

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভাইকিংসের দলপতি তামিম ইকবাল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে পড়ে ঢাকা। দলীয় ১৩ রানের মাথায় ওপেনিংয়ে নামা ঢাকার ইয়াসির শাহ ৯ বলে দুটি চারে ১০ রান করে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার সৈকত আলি ব্যক্তিগত ৩ রানে সাজঘরের পথ ধরেন।

ওয়ানডাউনে নামা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজের শুরুটাও ভালো হয়নি। মাত্র এক রান করে শত্রুতে পরিণত হওয়া পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরের বলে বিদায় নেন হাফিজ।

দলীয় ১৪ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরলেও দলের রানের চাকা ঘোরান ঢাকার দলপতি সাঙ্গাকারা। তাকে সঙ্গ দিতে নামা নাসির হোসেন ১০ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন। আউট হওয়ার আগে দলপতির সঙ্গে ২১ রানের জুটি গড়েন নাসির। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন-সাঙ্গা দলকে টানতে থাকেন। দলীয় ১৭তম ওভারে বিদায় নেন সাঙ্গা। শফিউল ইসলামের বলে উমর আকমলের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন ৩৮ রান করা লঙ্কান এ গ্রেট ব্যাটসম্যান। তবে, সাজঘরে ফেরার আগে মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও ৫৬ রান যোগ করেন তিনি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৩৬ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায়।

সাঙ্গাকারা ফেরার পরের বলেই শফিউল ফিরিয়ে দেন মোসাদ্দেককে। ২৯ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে এ ব্যাটসম্যান উমর আকমলের হাতেই ধরা পড়ার আগে করেন ২৪ রান। নির্ধারিত ৪ ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন শফিউল। ইনিংসের শেষ ওভারে আমির ফিরিয়ে দেন আবুল হাসানকে (৪)। একই ওভারে ১০ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৯ রান করা ম্যালকম ওয়ালারকেও ফেরান আমির।

চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভার বল করে বিলওয়াল ভাট্টি একটি উইকেট পেলেও দিলশান ২৯ রান খরচ করে উইকেট শূন্য থাকেন। আসিফ হাসান দুই ওভারে ৬ রান দিয়ে দুটি উইকেট দখল করেন। ইলিয়াস সানি দুই ওভারে ১৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে শফিউল ২১ রানের বিনিময়ে নেন তিনটি উইকেট। আর মোহাম্মদ আমির ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৮ খরচায় তুলে নেন আরও ৩টি উইকেট।

১২২ রানের টার্গেটে নেমে বিপাকে পড়ে চিটাগং। দলীয় ১৩ রানের মাথায় লঙ্কান ওপেনার দিলশান (৪) আবুল হাসানের বলে বোল্ড হন। স্কোরবোর্ডে আর ৭ রান যোগ হতেই ফিরে যান চলতি আসরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবির ফাঁদে পড়ার আগে ভাইকিংস দলপতি তামিম করেন ৮ রান। পঞ্চম ওভারে ম্যালকম ওয়ালার রান আউট করে ফিরিয়ে দেন ২ রান করা ইয়াসির আলিকে।

দলীয় ২৪ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা ধীর গতিতে এগুতে থাকে ভাইকিংসের রানের চাকা। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় ফেরেন এনামুল হক বিজয়। নবম ওভারে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে বিজয়কে (৯) ফিরিয়ে দেন ইয়াসির শাহ। ১০ রান যোগ হতেই বিদায় নেন ১৪ রান করা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান উমর আকমল।

৬১ রানের মাথায় আরও তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় ভাইকিংস। ইলিয়াস সানিকে (১০) এলবির ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন মোশাররফ হোসেন। একই ওভারে মোহাম্মদ আমির (০) ফেরেন। সেই ওভারেই শফিউল ইসলামও শূন্য হাতে ফিরে যান। ১৪তম ওভারে এই তিন ভাইকিংস ব্যাটসম্যানকেই ফিরিয়ে দেন মোশাররফ হোসেন। সে ওভারের দ্বিতীয় বলে সানি, তৃতীয় বলে আমির আর শেষ বলে শফিউল ফেরেন।

ভাইকিংসের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন ১১ রান করা বিলওয়াল ভাট্টি। মুস্তাফিজের বলে সৈকতের তালবন্দি হন তিনি। জিয়াউর রহমান ইনজুরিতে পড়ায় ব্যাট হাতে নামেননি। ফলে ১৬.৫ ওভার ব্যাট করে চিটাগংয়ের ইনিংস থামে মাত্র ৭৬ রানে।

ঢাকার হয়ে ৪ ওভার বল করে ১৬ রান খরচ করে ভাইকিংসের চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন মোশাররফ হোসেন। ৪ ওভার বল করে ইয়াসির শাহ ১৪ রানের বিনিময়ে নেন একটি উইকেট। ২.৫ ওভার বল করে ৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট পান মুস্তাফিজ। দুই ওভার বল করে আবুল হাসান ৮ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫
এমআর

** তামিম-দিলশানদের টার্গেট ১২২ রান
** সেই আমিরেই কাটা পড়লেন হাফিজ!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।