ঢাকা: শুরুর মতো শেষটা ভাল করতে পারলো না চিটাগং ভাইকিংস। আনামুল হক বিজয় ও তিলকেরন্তে দিলশানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু হলেও বরিশাল বুলস বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত সাত উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তোলে চিটাগং।
বিপিএলের তৃতীয় আসরে দু’দলের মধ্যকার ম্যাচে এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আনামুল ও দিলশানের ব্যাটে শুরুটা দুর্দান্ত করে চিটাগং। ৫.২ ওভারেই দলীয় ৫০ রান তোলে দলটি। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৮ রান করে আল-আমিন হোসেনের শিকার হন দিলশান। দুই চার ও সমান ছক্কায় তিনি তার ইনিংসটি সাজান। এদিন নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে চিটাগংয়ের নেতৃত্ব দেন দিলশান।
দিলশানের পর নিজের ইনিংসও বড় করতে পারেননি আনামুল। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের সমান ২৮ রান করে সোহাগ গাজীর বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিওনের পথ ধনের তিনি। তার উইলো থেকেও আসে দুটি ছক্কা ও সমান চারের মার।
দুই ওপেনারের আউটের পর দ্রুতই আরও দুটি উইকেট খোয়ায় চিটাগং। দলীয় ৭২ রানে কেভিন কুপারের শিকার হন ইয়াসির আলী আর ১৩ রান পরেই মাহমুদুল্লার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন জীভান মেন্ডিস।
মাঝে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন উমর আকমল। ধীর গতির ব্যাটিং করলেও ভালো স্কোরের সম্ভাবনা জাগান এ পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তবে স্বদেশী মোহাম্মদ সামির স্পেলে ৩০ বলে ২৫ রান করে আউট হন তিনি।
ব্যাটিংয়ে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি নাইম ইসলাম। নয় বল মোকাবেলা করে মাত্র চার রান করে কুপারের দ্বিতীয় শিকার হন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার।
এদিকে শেষ দিকে এসে আসিফ ও বিলওয়াল ভাট্টির ২৩ রানের ছোট পার্টনারশীপে মোটামুটি মানের পুঁজি পায় চিটাগং। বরিশালের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পান সামি ও কুপার। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন, সোহাগ গাজী ও মাহমুদুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৫
এমএমএস