ঢাকা: ২০১০-২০১১ মৌসুমে সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপা ঘরে তোলে আবাহনী। এরপর গত চার মৌসুম ধরে শিরোপাহীন দেশের ঐহিত্যবাহী এই ক্লাবটি।
সেই সঙ্গে কোচ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের সফল কোচদের একজন খালেদ মাহমুদ সুজনকে পাওয়ায় লিগ শুরুর আগেই শিরোপা জয়ের বড় দাবিদার হয়ে উঠেছে আবাহনী। গতবার প্রাইম ব্যাংককে শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন এই কোচ। চার মৌসুম আগে আবাহনী যখন শিরোপা জেতে তখনও সুজন ছিলেন আবাহনীর কোচ।
কাগজে-কলমে আবাহনীকে সেরা মানলেও আসল কাজটা মাঠে ভালো পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করছে বলে মনে করছেন খালেদ মাহমুদ, ‘চার বছর আগে আবাহনী যখন শিরোপা পায় সেটারও কোচ ছিলাম আমি। ওই এক বছরই আবাহনীকে কোচিং করিয়েছি। সে বছর তারা শিরোপা পায়। সেটার স্মরণীয় মুহূর্তগুলো তো আমার আছেই। এবার চ্যালেঞ্জটা থাকবে অন্যরকম। ক্রিকেট এমন একটি খেলা আপনি বলে কয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন না। এখানে ভালো খেলতে হবে। আমি এটুকু বলতে পারি নিঃসন্দেহে আমরা চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ফাইট করবো। বেস্ট ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো। কাগজে কলমে আমরা অবশ্যই সেরা টিম। কিন্তু খেলাটা মাঠের। কাগজে-কলমে যতই এগিয়ে থাকি না কেন, মাঠে গিয়ে পারফর্ম করাটা গুরুত্বপূর্ণ। ’
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) থেকে মিরপুর একাডেমি মাঠে আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করেছে আবাহনী। প্রথম দিনে স্কোয়াডে যোগ দিতে পারেননি তামিম ইকবাল ও মোসাদ্দেক সৈকত। আর আইপিএল খেলতে ভারতে আছেন সাকিব আল হাসান। এ ব্যাপারে খালেদ মাহমুদ জানান, ‘আজকে আমাদের প্রথম অনুশীলন। প্রথমদিন সবাই আসতে পারেনি। তামিম ওমরার জন্য আসতে পারেনি। মোসাদ্দেকের মায়ের শরীর খারাপ। ১৭ তারিখ থেকে যোগ দেবে সে। পুরো টিমটা একসাথে দেখলে ভালো লাগতো। আমি শিউর না, সাকিবকে কতটা পাব আমরা। তারপরও বলবো আমাদের দলটা যথেষ্ট শক্তিশালী। তামিমের মতো প্লেয়ার আছে, মোসাদ্দেক সৈকত, লিটন দাস, নাজমুল হাসান শান্তরাও আছে। দলের তরুণরা বেশ ভালো। তাসকিন, রাজু, তাপস বৈশ্যর মতো অভিজ্ঞ বোলার আছে। সাকলাইন সজীবও অনেক অভিজ্ঞ স্পিনার। জুবায়ের লিখন আছে, অমিতাভ অনেকদিন ধরে প্রিমিয়ার লিগ খেলছে। সব মিলিয়ে ডিসেন্ট একটা সাইড, অলরাউন্ড সাইড হয়েছে। বাকিটা মাঠে কতটা করতে পারি, প্ল্যানিংটা কিভাবে করতে পারি সেটার উপর নির্ভর করবে। আমি এক্সসাইটেড এই টিমের সাথে কাজ করে। ’
শক্তিশালী দল গড়লেও মিডলঅর্ডারে একটু দুর্বলতা রয়ে গেছে আবাহনীর। বিদেশি ক্রিকেটার দিয়েই সে অভাব পূরণ করবে দলটি। এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমদু বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি বাইরের ক্রিকেটার দিয়ে সে অভাবটা পূরণ করার। আমাদের মিডলঅর্ডারে একটা জায়গা খালি আছে। তারপরও কিছু নতুন প্লেয়ার আছে। আবু বকর সিদ্দিক আছে-যার নাম হয়েতো অনেকেই শোনেনি। তবে, সে একটু ইনজুরিতে আছে। আশা করছি রিহ্যাব করে দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। ৪-৫-৬ এ শান্ত, সৈকত এবং ভালোমানের একজন বিদেশি প্লেয়ার যদি থাকে ভালো হবে। ’
আগামী ২২ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়াবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের এবারের আসর। ঘরোয়া ক্রিকেটের সব চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টটিকে সামনে রেখে এরই মধ্যে দল গঠনের কাজ শেষ করেছে এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া দেশের ১২টি ক্লাব। সেই ধারাবাহিকতায় গত ১০ এপ্রিল প্লেয়ার বাই চয়েজের মাধ্যমে আবাহনী যে দল গঠন করেছে তাতে এবারের মৌসুমে তাদেরই ফেভারিট মানছেন এদেশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
আবাহনী লিমিটেড: লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাসকিন আহমেদ, সাকলাইন সজিব, আবুল হাসান রাজু, অভিষেক মিত্র, জুবায়ের হোসেন লিখন, তাপস বৈশ্য, অমিতাভ কুমার, আবু বকর সিদ্দিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ১৫ এপ্রিল ২০১৬
এসকে/এমআর