ঢাকা: ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) মিরপুরে লিগের বাই-লজ নিয়ে প্রিমিয়ারের ১২ ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সিসিডিএম।
কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, এবার চাকার ধরতে তৎপর থাকবে বিসিবি। কিন্তু সেটি কোন কাঠামোর মধ্যদিয়ে হবে সেটি পরিষ্কার নয় ক্লাবগুলোর কাছে। এ ব্যাপারে সভা শেষে সিসিডিএমের সমন্বয়ক আমিন খান জানান, আম্পায়াররা যখন কোনো খেলোয়াড়ের বোলিং নিয়ে রিপোর্ট করবে সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আমাদের যে টেকনিক্যাল টিম করা হবে তারা এই রিপোর্ট রিভিউ করবে। আর তাদের অ্যাকশন শোধরানোর ব্যবস্থাও করবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের দুই বোলার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষেধাজ্ঞায় পড়েন। যুব বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ হন সঞ্জিত সাহা। এরপরই আলোচনায় আসে বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর বিষয়টি।
লিগ শুরু হতে বাকি মাত্র দুইদিন। টেকনিক্যাল কমিটিতে কারা থাকবেন, কিভাবে কাজ করবেন এটাও স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘কিভাবে চাকার ধরা হবে এটা তো স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আইসিসি’র দ্বারা নিষিদ্ধ একাধিক বোলার এবারের লিগে অংশ নেবে। তার মানে তারা বৈধ! আমার মনে হয় যে সমস্ত পয়েন্টে আইসিসি তাদের উপর সন্দেহ পোষন করেছে তা স্থানীয় আম্পায়ারদের অবহিত করা উচিত। ’
‘তারা কতটা শুদ্ধভাবে বোলিং করছে সেটা দেখা এবং সীমারেখা যদি ভাঙে তাহলে নো বল ডাকা-এমন পদ্ধতি থাকলে ভালো হতো। এর বাইরে যারা চিহ্নিত হয়নি, ধরা পড়েনি, তারা স্বাধীনভাবে বল করে যাওয়ার চিন্তা করবে। এজন্য এটা ক্লিয়ার করা প্রয়োজন ছিল। ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। ’-যোগ করেন জালাল আহমেদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ১৯ এপ্রিল ২০১৬
এসকে/এমআর