ঢাকা: ফতুল্লায় লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মোহামেডানের স্পিনার নাঈম ইসলাম জুনিয়র। এবার মিরপুরে আরও বিধ্বংসী রূপে দেখা যায় তাকে।
এদিন বাঁহাতের ঘূর্ণিতে নাঈম সাজঘরে পাঠান টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে। এর মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই (শামসুর রহমান, এনামুল হক ও মেহেদি হাসান) নাঈমের শিকার। নিজের চতুর্থ শিকারে ফেরান গাজী গ্রুপের পাকিস্তানি রিক্রুট সাঈদ আনোয়ার জুনিয়রকে।
নিখুঁত লাইন ও লেন্থ ধরে রেখে একাধারে বোলিং করে যান নাঈম। নিজের প্রথম ওভারে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শামসুর রহমান শুভকে বোল্ড করে। মেহেদি হাসান ১ রানে ফিরে আসেন নাঈমের শিকার হয়ে। এরপর নাঈমের শিকার হন এনামুল হক বিজয়। গাজী গ্রুপের মিডলঅর্ডারে শেষ পেরেকটি ঠুকিয়ে দেন পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার জুনিয়রকে আউট করে। নাঈমের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে টেনে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন। টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ফিরে যাওয়ার পর আর ম্যাচে ফিরে আসতে পারেনি গাজী গ্রুপ।
নাঈমের বোলিংয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়া গাজী গ্রুপ পরে এনামুল হক জুনিয়র ও হাবিবুর রহমানের স্পিনে বেশি দূর এগোতে পারেনি। অলআউট হয় মাত্র ১৪১ রানে। সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে মোহামেডান।
১০ ওভারে ৩৮ রানে চার উইকেট নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ম্যাচসেরা হন নাঈম। মোহামেডানের জয়ের সঙ্গে ছুটছেন এ স্পিনারও। চার ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এ স্পিনার। নিজের কৃতিত্বের চেয়ে দলের জয়ে অবদান রাখাকেই সামনে আনলেন ২১ বছর বয়সী এ স্পিনার, ‘ম্যাচসেরা হয়ে দলকে জেতাতে পেরেছি সেজন্য ভালো লাগছে। দলও বেশ ভালো করছে। আজকে যেভাবে বোলিং করেছি সেভাবেই বোলিং করে যেতে চাই। আশা করছি লিগ শেষে ভালো একটি অবস্থানে থাকতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ০৬ মে ২০১৬
এসকে/এমআর