ঢাকা: শুধু ওয়ানডে বৃত্তেই আটকে থাকতে চান না টাইগার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। ওয়ানডের পাশাপাশি চাইছেন টেস্ট ও টি টোয়েন্টিতেও খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসতে।
সন্দেহ নেই ওয়ানডেতে ভীষণ আক্রমণাত্মক সৌম্য সরকার। মুহূর্তেই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের দৃশ্যপট। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালে জিম্ববুযের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার। অভিষেক ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২০ বলে ১৮ রান।
শুরুটা ১৮ রান দিয়ে হলেও পরের বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পর দেশের মাটিতে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজগুলোতে নিজেকে মাঠের খেলায় শতভাগ প্রমাণ করেছেন।
২০১৫ সালে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫১ রানে তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। একই বছর এপ্রিলে পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে দেখা পেযেছিলেন সেঞ্চুরির (১২৭ রান)। এরপর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও তার দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি ওয়ানডেতে ৬৯২ রান করেছেন সৌম্য। এর মধ্যে ১টি শতক আর অর্ধশতক আছে ৪টি। তবে ওয়ানডেতে উল্লেখ করার মতো হলো তার ম্যাচ প্রতি গড় ৪৯.০২, যা কীনা সতীর্থ যে কারো চেয়ে বেশি।
ওয়ানডেতে সৌম্য দুর্দান্ত হলেও টেস্ট ও টি-২০ ফরমেটে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি। কারণ ২৮ এপ্রিল ২০১৫ খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের প্রথম টেস্টে অভিষেকের পর এই পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন মোট ৩টি। যেখানে তার মোট রান ১০৭ আর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৩৭। টি-টোয়েন্টিতে ১৯টি ম্যাচ খেলে করেছেন ২৯৯ রান। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৪৮।
তাই আসন্ন সিরিজগুলোতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরমেটে রানে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) মিরপুর ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলনের পর সৌম্য জানান, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমি ভালো করিনি। সামনে টেস্ট ও ওয়ানডে আছে। এইগুলো নিয়েই ভাবছি। টি-টোয়েন্টিতে যেহেতু ভালো করতে পারিনি, সেহেতু ওখানেও ভালো করা নিয়েই ভাবছি। অবশ্যই চেষ্টা করবো তিন ফরমেটেই নিজের সেরাটা দেয়ার জন্য। ’
আসছে অক্টোবরে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দু’টি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ডিসেম্বরে টাইগারদের নিউজিল্যান্ড সিরিজ। আগামী বছরের মে মাসে আয়ারল্যান্ডে কিউইদের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও জুনে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাস্পিয়নস ট্রফি। তিনটি দেশের উইকেটই বাউন্সি ও সুইং নির্ভর।
দেশের বাইরের এই সিরিজগুলোকে নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই টাইগার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান, ‘দেশে খেলা ও বাইরে খেলার মধ্যে পার্থক্য আছে। যেখানেই খেলা হোক, খেলতে হবে আমাদেরই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে দেশে যে খেলাটা খেলি সেটা বাইরেও ধরে রাখা। ওখানে সবই বাউন্সি উইকেট। ওদের আবহাওয়া আলাদা এবং উইকেটগুলো বাউন্সি এবং সুইং হয়। ওগুলো যদি ভালোভাবে অনুশীলন করতে পারি এবং আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে পারি তাহলে সমস্যা হবে না। ’
ইনজুরি থেকে ফিরে অনুশীলনে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি এখন বোলিং অনুশীলনও করছেন বলে জানিয়েছেন টাইগার ব্যাটিং সেনসেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই, ২০১৬
এইচএল/এমআরএম/এমআরপি