ঢাকা: দেশের মাটিতে সাদা পোশাকের সিরিজের প্রেক্ষাপটে গেল বছরের তুলনায় ২০১৬ সাল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খরারই নামান্তর। কেননা স্বাগতিক হিসেবে ২০১৫ সালে টাইগাররা পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো জায়ান্ট তিনটি দলের বিপক্ষে যেখানে ৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে, সেখানে এবছর এখন পর্যন্ত কোনো টেস্ট ম্যাচই খেলেনি! দেশের মাটিতে মুশফিক বাহিনী সবশেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলেছিল গেল বছরের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
তবে আগামী আক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচের মধ্যদিয়ে টিম বাংলাদেশের প্রায় ১৪ মাসের টেস্ট প্রতীক্ষার অবসান হবে।
টেস্টের পাশাপাশি ওয়ানডেতে গেল বছর নিজেদের মাটিতে মাশরাফিরা পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেখানে ১২টি ম্যাচ খেলেছে, সেখানে এবছর এখনও একটি ওয়ানডে ম্যাচও মাঠে গড়ায়নি! লাল-সবুজের সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল গেল বছরের ১১ নভেম্বরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
টাইগারদের সেই ১০ মাস ওয়ানডে অপেক্ষারও অবসান হবে এই ইংল্যান্ড সিরিজ দিযেই। আসন্ন হোম সিরিজে ইংলিশদের বিপক্ষে মাশরাফিদের তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচের এমন লম্বা বিরতি যেকোনো দলের জন্যই সমস্যার কারণ বলে জানালেন টাইগারদের টপঅর্ডার সৌম্য সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) মিরপুর একাডেমিতে অনুশীলন শেষে সৌম্য জানান, ‘খেলা যত বেশি থাকে আমাদের জন্য তত ভালো। কেননা এতে করে খেলার সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা বাড়ে এবং পারফরমেন্সটা ধারাবাহিক হয়। আর ম্যাচ কম হলে আমরা খেলা থেকে দূরে থাকি। তখন নতুন করে আবারো আমোদের শুরু করতে হয়। ’
‘অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাস’ প্রবাদটি যদি পার্থিব জগতের সব ক্ষেত্রেই প্রজোয্য হয়, ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও তাই হবার কথা। তবে বেশি বেশি ম্যাচ খেললে এমন সমস্যা উতরে যাওয়া সহজ হবে বলেও মত দিলেন এই টাইগার ব্যাটসম্যান। তিনি যোগ করেন, ‘যত বেশি ম্যাচ হবে ততই আমরা ম্যাচের ভেতরে থাকি এবং আমাদের লেভেলটা বজায় রাখা সম্ভব হয়। ’
আর লম্বা বিরতির পর আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে তিনি ও তার সতীর্থরা সেরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান সৌম্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই ২০১৬
এইচএল/এমআরপি