ঢাকা: নিজেদের মাটিতে ৫০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা স্বাগতিক ইংল্যান্ড এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিনেই গুটিয়ে গেছে। তবে, দুর্দান্ত ব্যাট করে চলেছে সফরকারী পাকিস্তান।
এর আগে স্বাগতিক ইংলিশরা ৮৬ ওভার ব্যাট করে অলআউট হয় ২৯৭ রান তুলে। ৩২ বছর বয়সী সোহেল খানের পেসে বড় সংগ্রহের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে সফরকারী পাকিস্তান তিন উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৫৭ রান। দিনের একেবারে শেষ বলে বিদায় নেন সেঞ্চুরিয়ান আজাহার আলি।
চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামবে মিসবাহ বাহিনী। প্রথম টেস্টে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। তবে, দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। এ মুহূর্তে সিরিজটি ১-১ এ সমতায় রয়েছে। ফলে, এজবাস্টনের এই তৃতীয় ম্যাচটি দু’দলের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে জাদু দেখিয়েছেন পাকিস্তানের হয়ে মাত্রই তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা ডানহাতি পেসার সোহেল খান। একাই ৫টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। তবে, এটাও যেন তার নায়োকোচিত পারফর্ম বোঝাতে পারছে না। ২০০৯ সালে অভিষেক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৬৪ রান খরচায় কোনো উইকেট তুলে নিতে পারেননি। ২০১১ সালে আরেকবার সুযোগ পেয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ে টেস্টে দুই ইনিংসে ৮১ রান দিয়ে একটি মাত্র উইকেট পেয়েছিলেন সোহেল খান। এরপর এই ম্যাচে দীর্ঘ ৫ বছর পর পাকিস্তানের হয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছেন ৩২ বছর বয়সী সোহেল।
ইংল্যান্ডের হয়ে দলপতি অ্যালিস্টার কুক ৪৫ আর অ্যালেক্স হেলস ১৭ রান করে বিদায় নেন। জো রুট ৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ৩৯ রান করেন চার নম্বরে নামা জেমস ভিঞ্চ। পাঁচ নম্বরে নেমে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন গ্যারি ব্যালেন্স। জনি বেয়ারস্টো ফেরেন ১২ রানে। আর মঈন আলি দীর্ঘ সময় ক্রিজে থেকে দলকে টেনে নিতে খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস।
সোহেল খান ৫টি, মোহাম্মদ আমির দুটি, রাহাত আলি দুটি আর ইয়াসির শাহ একটি করে উইকেট লাভ করেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সামি আসলাম আর আজাহার আলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন কোনো রান না করেই। আরেক ওপেনার সামি আসলাম রান আউট হওয়ার আগে করেন ৮২ রান। আজাহার আলির সঙ্গে জুটি গড়েন ১৮১ রানের। পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাদের এই পার্টনারশিপ দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে ১৯৭১ সালে মুশতাক মোহাম্মদ আর জহির আব্বাস মিলে করেছিলেন ২৯১ রান।
তিন নম্বরে নামা আজাহার আলি শতক হাঁকিয়ে দিনের একেবারে শেষ বলে বিদায় নেন। তার আগে খেলেন ১৩৯ রানের ইনিংস। ২০০৬ সালের পর এশিয়ার বাইরে কোনো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন আজাহার। এর আগে ইউনিস খানও সেঞ্চুরি করেছিলেন।
দ্বিতীয় দিন শেষ বলে আজাহার ফিরে গেলেও ইউনিস খান ২১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। এই দু’জনের জুটিতে স্কোরবোর্ডে আরও ৭৬ রান যোগ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৬
এমআরপি