ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অনুমোদনহীন টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইসিএল) খেলে ক্যারিয়ারের ছন্দ হারিয়েছেন-এমন ক্রিকেটারদের একজন মোশররফ হোসেন রুবেল। জাতীয় দলে ওয়ানডে অভিষেকের বছরেই নিষিদ্ধ টুর্নামেন্ট আইসিএলে নাম লিখিয়ে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে ছন্দপতন ঘটান এ বাঁহাতি স্পিনার।
২০০৮ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজের তিনটি ম্যাচেই একাদশে ছিলেন রুবেল। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে আইসিএল খেলে ঢাকায় ফিরেই বিসিবির সাময়িক নিষেধাজ্ঞার খড়গ নামে মোশাররফ হোসেন রুবেলসহ হাবিবুল বাশার, আফতাব আহমেদ, ধীমান ঘোষ, নাজিম উদ্দিন, শাহরিয়ার নাফীস, ফরহাদ রেজা, অলক কাপালিদের। বিপুল অঙ্কের অর্থের প্রলোভনে তারা নাম লেখান নিষিদ্ধ টুর্নামেন্ট আইসিএলে।
ক্যারিয়ারের শুরুতে নিষেধাজ্ঞার খড়গে বোলিংয়ে ছন্দপতন ঘটে রুবেলের। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া লিগে ফিরতেই লেগে যায় পাঁচ বছর। আইসিএলে খেলতে না গেলে ক্যারিয়ারটা অন্যরকম হতে পারতো বলে মনে করেন রুবেল।
বিসিবির এইচপি ক্যাম্পে থাকা এই ক্রিকেটার মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) মিরপুরে আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘এখন ফিল করি যদি আইসিএলে না যেতাম হয়তোবা ক্যারিয়টারটা লম্বা...৮-১০ বছরের একটা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হতো। কারণ ওই সময় আসার পর দুই বছর কোনো ক্রিকেটই খেলিনি। তারপর ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করেছি। নতুন করে শুরু করতে ৫ বছর ওখানেই চলে গেছে। ’
‘এতটা যে পিছিয়ে যাব ওভাবে চিন্তা করিনি। একবার ন্যাশনাল টিম থেকে চলে গেলে কিংবা ট্র্যাকের বাইরে চলে গেলে কামব্যাক করা কঠিন। ওই সময় যদি কন্টিনিউ হতো, হয়তো ভিন্ন কিছু হতো। ’-যোগ করেন মোশাররফ হোসেন রুবেল।
এইচপি’র স্পিন বোলিং ক্যাম্প প্রসঙ্গে ৩৪ বছর বয়সী এ স্পিনার বলেন, ‘লেভেল-থ্রি করা আইসিসি’র কোচ (ভেঙ্কটপতি রাজু) আমাদের স্পিনারদের কোচিং করাচ্ছেন। তিনি অনেক কিছু জানেন। আমার মনে হয়, স্পিনাররা অনেক উপকৃত হবেন। আজ বেসিক নিয়ে কাজ হয়েছে। আমাদের বোলিং দেখেছে। ভিডিও অ্যানালাইসিস দেখে হয়তো কার কি পরিবর্তন দরকার হবে সেটা দেখবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
এসকে/এমআরএম