ঢাকা: অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিলেন, পুরো ম্যাচে নিলেন ৭ উইকেট। এমন দুরন্ত শুরুটায়ও হাসতে পারলেন না দল জয় পায়নি বলে।
প্রথম টেস্টের পরের সময়টায় হয়তো কেউ জানেনি। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার পর হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকলো সফরকারী ইংল্যান্ড। এই খেলায় কেবল তার ঘূর্ণিতেই কাটা পড়লো টেস্টের ‘এলিট ক্লাস’ টিম বলে পরিচিত ইংল্যান্ডের ১২টি (দুই ইনিংস মিলিয়ে) উইকেট।
২৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে শত রান তোলার পরও তার বোলিং জাদুতেই কিনা ইংলিশরা গুটিয়ে গেল ১৬৪ রানে! বাংলাদেশ জিতলো ইতিহাস গড়া টেস্ট।
এই জাদুকরি বোলিংয়ে ম্যাচ সেরাতো হলেনই, সিরিজের সেরার মুকুটও উঠলো তার মাথায়। ধারাভাষ্যকারদের মুখে মুখে কেবল তার নাম উচ্চারিত হচ্ছিল, ‘নিউ বোলিং সেনসেশন অব বাংলাদেশ’। তিনি মেহেদী হাসান মিরাজ। পুরো সিরিজজুড়ে যেন কেবল এই নামটির প্রশংসায়ই ভাসছিলেন ধারাভাষ্যকাররা।
গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মিরাজ তার এই ‘সেরা’ মুকুটজয়ের পাশাপাশি ছুঁলেন ১২৯ বছরের রেকর্ড ভাঙা এক মাইলফলক।
দুই টেস্টে মোট ১৯ উইকেট নিয়ে খুলনার এই ছেলে জায়গা নিলেন দুই ম্যাচের অভিষেক টেস্ট সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটধারীদের তালিকায়। পেছনে ফেললেন উনবিংশ শতকের বোলিং সেনসেশন জন জেমস ফেরিসকে। ১৮৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি এ পেসার সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে।
মিরাজ ও ফেরিসের পেছনে আছেন অস্ট্রেলিয়ার আরেক বোলিং সেনসেশন চার্লি টার্নার (১৭ উইকেট), জিম্বাবুয়ের অ্যাডাম হাকলি (১৬ উইকেট) ও অস্ট্রেলিয়ার আরেক বোলিং তারকা টেমি কেন্ডাল (১৪ উইকেট)।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
এইচএ
** রেকর্ড গড়ে সবার শীর্ষে মিরাজ
** সাকিব-এনামুলের রেকর্ডে ভাগ বসালেন মিরাজ