ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

হারের বৃত্তেই তামিমরা, মুশফিকদের টানা তৃতীয় জয়

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
হারের বৃত্তেই তামিমরা, মুশফিকদের টানা তৃতীয় জয় ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শাহরিয়ার নাফিস ও ডেভিড মালানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চিটাগং ভাইকিংসের দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যটা ৭ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখে টপকে গেছে বরিশাল বুলস। দিন শেষে তামিম ইকবালের ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসটা বৃথাই গেল!

মিরপুর থেকে: শাহরিয়ার নাফিস ও ডেভিড মালানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চিটাগং ভাইকিংসের দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যটা ৭ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখে টপকে গেছে বরিশাল বুলস। দিন শেষে তামিম ইকবালের ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসটা বৃথাই গেল!

এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারের বৃত্তে তামিমের চিটাগং।

অন্যদিকে, টানা তৃতীয় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল।

দ্বিতীয় উইকেটে ১৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন নাফিস ও মালান। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে নাফিসের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ বলে ৬৫। তাতে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কার মার।  দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবারের আসরে চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই অর্ধশতক হাঁকালেন।

দলীয় ১৫৭ রানে নাফিস আউট হওয়ার পরের বলেই থিসারা পেরেরাকে (০) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন পাকিস্তানি পেসার ইমরান খান। ম্যাচেও এর প্রভাব পড়লেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বরিশাল।

তিন চার ও সাত ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৮ রানের ‘বিস্ফোরক’ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ম্যাচ সেরা ইংলিশ ব্যাটসম্যন ডেভিড মালান। উইনিং রান আসে মুশফিকের (৪ বলে ১০ অপ.) ব্যাট থেকে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট উদযাপনে মাতে চিটাগং। পেসার শুভাশিষ রায়ের বলে দলীয় সাত রানের মাথায় বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জশ কব (৬)। কিন্তু, এরপর জুটি গড়ে তামিম ইকবালদের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় নাফিস-মালান জুটি।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবালের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তিন উইকেটে ১৬৩ রান তোলে চিটাগং।

শেষদিকে, ১৯ বলে ২৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আনামুল হক। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ডোয়াইন স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ১৭ (১৭ বল)। তাকে নাদিফ চৌধুরীর তালুবন্দি করে উইকেটের খাতায় নাম লেখান পেসার আল আমিন হোসেন।

ওপেনিং জুটিতেই ১১৬ রান তোলেন তামিম ও জহুরুল ইসলাম। ৫১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন চিটাগং অধিনায়ক। তাতে ছিল ১০টি চার ও ২টি ছক্কার মার। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বোল্ড আউট হন তামিম।

পরের ওভারেই জহুরুলকে (৩৬) লং-অনে থিসারা পেরেরার ক্যাচে পরিণত করেন আবু হায়দার। হঠাৎই যেন চিটাগংয়ের ছন্দপতন হয়! তবে আনামুল-স্মিথের ব্যাটে বড় স্কোর গড়া না হলেও লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় চিটাগং।

এদিকে, সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাতের ম্যাচে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটসের সামনে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সন্ধ্যা ৭টায় খেলা শুরু হবে। এটি ঢাকা পর্ব-১ এর শেষ ম্যাচ। দু’দিন বিরতির পর ১৭ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে চট্টগ্রাম পর্ব।

সাত দলের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে আসা বরিশালের সংগ্রহ চার ম্যাচে তিন জয় ও এক হারে ৬। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে নেমে গেছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা। মাত্র এক জয়ে ষষ্ঠ স্থানেই চিটাগং। সমান পয়েন্টে এক ধাপ উপরে এক ম্যাচ কম খেলা রাজশাহী কিংস। তিন ম্যাচ শেষে সমান চার পয়েন্টে এক ধাপ করে পিছিয়ে যথাক্রমে তিনে ঢাকা ও চার নম্বরে রংপুর রাইডার্স। তলানিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।