ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

রাজশাহী কিংসকে মিস করছি: এবাদত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
রাজশাহী কিংসকে মিস করছি: এবাদত এবাদদ হোসেন-ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এবাদত হোসেনের সাইড স্ট্রেইনের ব্যাথাটি আর নেই। গেল ২৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে নেটে বল করতে গিয়ে পড়া ইনজুরি ইতোমধ্যেই কাটিয়ে উঠেছেন। দুই ফিজিও বায়েজিদ খান ও নজিবুর রহমানের অধীনে পুনবার্সনে  থাকা এবাদত এখন অনেকটাই ফিট।

ঢাকা: এবাদত হোসেনের সাইড স্ট্রেইনের ব্যাথাটি আর নেই। গেল ২৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে নেটে বল করতে গিয়ে পড়া ইনজুরি ইতোমধ্যেই কাটিয়ে উঠেছেন।

দুই ফিজিও বায়েজিদ খান ও নজিবুর রহমানের অধীনে পুনবার্সনে  থাকা এবাদত এখন অনেকটাই ফিট।

এখন অপক্ষো শুধু বোলিংয়ের শুরুটার। সেটাও নাকি কয়েকদিনের মধ্যেই করতে যাচ্ছেন। ফলে তার নিউজিল্যান্ডে যাওয়া নিয়ে আর কোন সংশয় থাকছে না।

‘এখন অনেক ভাল। রিহ্যাব চলছে। তবে আমার ব্যাথাটি নেই। এখন শুধু স্ট্রেংথ নিয়ে কাজ করবো। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বায়েজিদ ভাই (বায়েজদ খান) একটি পরীক্ষা নিয়েছেন। সেটা দেখে উনি বলেছেন বল করতে পারবো। কিন্তু শুরুটা এখনই নয় আরও কয়েকদিন পরে। হতে পারে ২০ অথবা ২২ তারিখে। প্রাথমিকভাবে বল করবো কম ইনটেনসিটি দিয়ে। এরপর স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যাব। ’-বললেন এবাদত

এবাদতের নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে সংশয় না থাকলেও এবারের বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়ে আদৌ মাঠে নামতে পারবেন কিনা সেটি নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কেননা মাত্রই ইনজুরি থেকে উঠে বিপিএল না খেলাকেই তিনি বেশি যুক্তিযুক্ত মনে করছেন। আশার কথা হলো তার শারিরীক অবস্থার কথা বিবেচনা করে রাজশাহী কিংস কর্তৃপক্ষও তাকে খেলাতে চাপাচাপি করছেন না।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে বিপিএলে মাঠে নামা নিয়ে এবাদত বলেন, ‘যেহেতু সামনে নিউজিল্যান্ড সফর সেহেতু বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়ে বল হাতে মাঠে না নামাই ভাল। ’  

বিপিএলের এবারের আসরে রাজশাহী কিংসে জায়গা পেয়েছিলেন এবাদত। বল হাতে মাঠে নামতে পারলে বিপিএলে এতোদিনে তার অভিষেকও হয়ে যেত। কিন্তু সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরি তাকে সেই সুযোগ বঞ্চিত করলো।

তাই কিছুটা অস্বস্তিতে আছেন এই পেসার। পাশাপাশি আছে বন্ধু ও স্বজনদের প্রতীক্ষার কষ্টও। কেননা, এবাদত রাজশাহীতে খেলছেন, তার একথা জানার পরে নাকি গ্রামের বাড়িতে (বড় লেখা, সিলেট) বন্ধু ও স্বজনেরা বড় পর্দায় খেলার দেখার আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু যখন শুনলেন ইনজুরিতে পড়ায় তাদের বন্ধু খেলতে পারছেন না তখন নাকি তারা ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। তাদের কষ্টের কথা ভেবে খারাপ লাগছে এবাদতেরও।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘খারাপ লাগছে। কারণ, আমি রাজশাহী কিংসের হয়ে এই প্রথম বিপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত সাইড স্ট্রেইন ব্যাথার কারণে আমি খেলতে পারছি না। খুবই খারাপ লাগছে। আমি রাজশাহী কিংসকে মিস করছি। যদি দলের সাথে থাকতে পারতাম এবং খেলতে পারতাম তাহলে খুবই ভাল লাগতো।

ডিসেম্বরে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরের আগে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় দুই সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্পকে সামনে রেখে যে ২২ সদস্যের টাইগার স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে এবাদত হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মূলত ডেভেলপমেন্টের অংশ হিসেবে রাখা হয়েছে।

হাই পারফরম্যান্স দলের কার্যক্রম আপাতত শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং ‘এ’ দলের কোনো খেলা না থাকায় মাশরাফি-মুশফিকদের সঙ্গে ক্যাম্পে থাকলে তারা তাদের স্কিল ‍ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে পারবেন এই ভাবনা থেকেই তাদের দলে রাখা।

আর ডেভেলপমেন্টের অংশ হিসেবে ‍ওই ক্যাম্পের অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেকে সেরাদের একজন দেখতে চাইছেন এবাদত। ‘ওইখানে গিয়ে চেষ্টা করবো নিজের সর্বোচ্চটি দিয়ে বাংলাদেশ দলে জায়গা করে নিতে। সামর্থের পুরোটুকু দিয়েই অনুশীলন ক্যাম্পে নিজেকে সেরা প্রমান করতে চেষ্টা করবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ১৬ নভেম্বর, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।