ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

তামিমদের হারিয়ে শীর্ষেই সাকিবের ঢাকা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
তামিমদের হারিয়ে শীর্ষেই সাকিবের ঢাকা ছবি: উজ্জ্বল ধর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করা সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস আরও একটি জয় তুলে নিয়েছে। বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংসকে ১৯ রানে হারিয়েছে ঢাকা।

চট্টগ্রাম থেকে: ঢাকা পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করা সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস আরও একটি জয় তুলে নিয়েছে। বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংসকে ১৯ রানে হারিয়েছে ঢাকা।

ফলে, আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রইলো পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক হারে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করা সাকিবের ঢাকা। অপরদিকে, চিটাগংয়ের সংগ্রহ পাঁচ ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্ট।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংসের মুখোমুখি হয় সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং দলপতি তামিম ইকবাল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ঢাকা তোলে ১৪৮ রান। জবাবে, ৮ উইকেট হারানো চিটাগংয়ের ইনিংস থামে ১২৯ রানের মাথায়।

ঢাকার হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন কুমার সাঙ্গাকারা এবং মেহেদি মারুফ। ওপেনিং জুটি থেকেই তারা তুলে নেন ৪১ রান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ নবীর বলে এলবির ফাঁদে পড়েন মারুফ। বিদায়ের আগে তিনি ২০ বলে ৬টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৩৩ রান। মারুফের বিদায়ে উইকেটে আসেন নাসির হোসেন।

ইনিংসের দশম ওভারে বিদায় নেন সাঙ্গাকারা-নাসির। ব্যক্তিগত ২০ রানে বিদায় নেন নাসির। টাইমাল মিলসের প্রথম বলে বোল্ড হন ১৪ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ইনিংস সাজানো নাসির। দুই বল পরেই সাঙ্গাকারাকে ফেরান মিলস। এলবির ফাঁদে পড়ার আগে লঙ্কান গ্রেট করেন ২২ বলে ১৭ রান।

ইনিংসের বারোতম ওভারে বিদায় নেন সাকিব। ঢাকার দলপতি ৭ বলে ১৩ রান করে মোহাম্মদ নবীর বলে বোল্ড হন সাকিব। এর পরের ওভারেই রান আউট হয়ে বিদায় নেন ডোয়াইন ব্রাভো। দলীয় ১০০ রানের মাথায় ঢাকা তাদের পঞ্চম উইকেট হারায়।

১৬.১ ওভারে দলীয় ষষ্ঠ উইকেট হারায় ঢাকা। নবীর তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সেকুগে প্রসন্ন। আট রান করেন এ শ্রীলঙ্কান। পরের ওভারেই নতুন ব্যাটসম্যান ম্যাট কোলসকে গ্র্যান্ট ইলিয়টের ক্যাচে পরিণত করেন ইমরান খান। ১৯তম ওভারে মিলস তার তৃতীয় উইকেট তুলে নিতে ফেরান দুর্দান্ত ব্যাট করা মোসাদ্দেক হোসেনকে। ২৬ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় তিনি করেন ৩৫ রান।

চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় তিনটি উইকেট তুলে নেন টাইমাল মিলস। আর মোহাম্মদ নবী ৩ ওভার বল করে ১৮ রানের বিনিময়ে তুলে নেন আরও তিনটি উইকেট।

১৪৯ রানের টার্গেটে ঘরের মাঠে ব্যাটিং শুরু করেন তামিম ইকবাল এবং জহুরুল ইসলাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে রানআউট হয়ে ফেরেন জহুরুল ইসলাম (৬)। ইনিংসের সপ্তম ওভারে নাসির ফিরিয়ে দেন এনামুল হক বিজয়কে। প্রসন্নর হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে বিজয় করেন ১৫ বলে এক ছয়ে ১৭ রান। এরপর জুটি গড়েন তামিম-মাহমুদুল। এ জুটি থেকে আসে ২৮ রান। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় বিদায় নেন চিটাগং দলপতি তামিম। ব্রাভোর বলে মোসাদ্দেকের তালুবন্দি হওয়ার আগে তামিম ৩৫ বলে করেন ২৬ রান।

ইনিংসের ১৫তম ওভারে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন ২০ রান করা মাহমুদুল হাসান। ম্যাট কোলসের বলে বোল্ড হন তিনি। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় টপঅর্ডারের চার উইকেট হারায় চিটাগং। ৯০ রানের মাথায় বিদায় নেন মোহাম্মদ নবী। মোহাম্মদ শহীদের বলে সাঙ্গাকারার গ্লাভসবন্দি হন ১০ বলে দুই চারে ১৫ রান করা নবী।

ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে শহীদ ফেরান গ্রান্ট ইলিয়টকে। কিউই এই তারকা তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে দাঁড়ানো নাসিরের তালুবন্দি হন। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৮ রান। ১৮তম ওভারে বিদায় নেন নাজমুল হোসাইন মিলন (১৩)। মোহাম্মদ শহীদের বলে সাঙ্গাকারার গ্লাভসবন্দি হন মিলন। শেষ দিকে সাকলাইন সজীব ৯ আর ইমরান খান ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ১৭ নভেম্বর ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।