সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে অলআউট হয় সেন্ট্রাল জোন। নর্থ জোনের স্পিনার সাঞ্জামুল তুলে নেন ৫ উইকেট।
ক’দিন আগেই এই সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে সাঞ্জামুল এক ম্যাচে ১২টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে সেন্ট্রাল জোনের ৯ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠান। বাকি উইকেটটি ছিল রান আউট। সেন্ট্রাল জোনের ওপেনার সাইফ হাসান ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে তাইবুর রহমানের ব্যাট থেকে। নর্থ জোনের হয়ে সাঞ্জামুল ৫টি, ফরহাদ রেজা ৩টি এবং আলাউদ্দিন বাবু-নাঈম ইসলাম একটি করে উইকেট লাভ করেন। নাসির হোসেন কোনো উইকেট পাননি।
নর্থ জোনের হয়ে ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করেন দলপতি জহুরুল ইসলাম এবং জুনায়েদ সিদ্দিক। জহুরুল ৩৫ রানে বিদায় নিলেও জুনায়েদ করেন ৪১ রান। ফরহাদ হোসেন ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানেই ফেরেন সাঞ্জামুল।
নাঈম ইসলাম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ২১তম শতক হাঁকান। টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকাতে ২৮৫ বলে ২০টি চার আর একটি ছক্কায় ১৪২ রান করেন নাঈম। শান্তর ব্যাট থেকে আসে ১২৩ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটি শান্তর তৃতীয় শতক। তার ১৪২ বলের ইনিংসে ছিল ১৮টি বাউন্ডারি।
৮ রানে সাজঘরে ফেরেন নাসির হোসেন। আর ১১৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ধীমান ঘোষ। ১৩২ বলে ধীমান তার ইনিংস সাজান ১৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে। ৫৪ রান করে আলাউদ্দিন বাবু।
সেন্ট্রাল জোনের হয়ে তিনটি উইকেট দখল করেন দলপতি মোশাররফ হোসেন রুবেল। দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ শরীফ, শাহাদাত হোসেন এবং শরিফুল্লাহ।
ব্যাটিংয়ে নেমে আবারো বিপাকে পড়ে সেন্ট্রাল জোন। তবে ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৭০ রান এনে দেন সাইফ হাসান এবং আবদুল মজিদ। সাইফ ৭০ ও মজিদ ৪৩ রান করে বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা মেহরাব হোসেন জুনিয়র করেন ১৪ রান। নুরুল হাসান সোহান ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তানবীর হায়দার এবং ১৯ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ বা শেষ দিন ব্যাটিংয়ে নামবেন মোহাম্মদ শরীফ। দলপতি মোশাররফ হোসেন রুবেল ৩ রানে বিদায় নিয়েছেন।
নর্থ জোনের হয়ে ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু। একটি করে উইকেট দখল করেন সাঞ্জামুল, ফরহাদ রেজা, নাঈম ইসলাম আর ইয়াসিন আরাফাত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি