পিএসএলের ফাইনালে ওঠা কোয়েটার হয়ে খেলার প্রস্তাব পেয়ে বোর্ডের কাছে অনাপত্তিপত্র চান বিজয়। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন সম্মতি জানালে লাহোরে খেলার ছাড়পত্র পান তিনি।
এদিকে, বিসিবি থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিজয়ের নিরাপত্তার ব্যাপারে পূর্ণ আশ্বাস দেন।
নিরাপত্তাহীনতার মধ্যদিয়ে লাহোরে ৫ মার্চ বসতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের দ্বিতীয় আসরের ফাইনাল ম্যাচ। ২০০৯ সালে পাকিস্তান সফরে যাওয়া শ্রীলঙ্কান টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মেগা কোনো ইভেন্ট আয়োজন করতে পারেনি পিসিবি। বাংলাদেশ নারী দল সফরে গিয়েছিল। এছাড়া, জিম্বাবুয়ে সেখানে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নিয়েছিল।
এবারের টুর্নামেন্টে খেলেছেন বাংলাদেশের আরও তিন ক্রিকেটার। সাকিব, তামিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ খেলেছেন কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের হয়ে আর সাকিব ও তামিম খেলেছেন পেশোয়ার জালমির হয়ে। দুটি দলই ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে গেছে। জানুয়ারিতে হায়দ্রাবাদে সিরিজের একমাত্র টেস্ট শেষ করেই এই তিন টাইগার ক্রিকেটার যোগ দেন পিএসএলে। গ্রুপপর্বের সবক’টি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
তবে সকিব, তামিম, রিয়াদ গ্রুপ পর্ব খেললেও শ্রীলঙ্কায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ থাকায় এই মুহূর্তে তারা সেখানেই আছেন। এদিকে আগামী ৭-১১ মার্চ গলে শুরু হবে স্বাগতিক লঙ্কানদের বিপক্ষে সফরকারী বাংলাদেশের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। জাতীয় দলের বাইরে থাকায় তাই শেষ পর্যন্ত পিএসএলের ফাইনাল খেলতে বিজয়ের লাহোর যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে, অনেক বিদেশি ক্রিকেটাররা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দল ফাইনালে উঠলেও লাহোরে যাবেন না তারা। আয়োজকরা তাই চেষ্টা করেছে বাইরে থাকা বিদেশি ক্রিকেটারদের ফাইনালে নিয়ে যেতে। বিজয়কে সেভাবেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে বিজয়ের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই নিজ দায়িত্বেই তাকে যেতে হবে। বিসিবি প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন বিজয়ের হাতেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ০৪ মার্চ ২০১৭
এমআরপি