আবাহনীর দেয়া ২৭০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা শেখ জামাল জয়ের বন্দরে নোঙ্গর ফেলে ৪ উইকেটের বিনিময়ে। জিয়াউর রহমান ছাড়াও ওপেনার ফজলে রাব্বির ৬৩ ও প্রশান্ত চোপরার ৫৭ রান দলের দাপুটে জয়ে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে।
এর আগে বুধবার (২৬ এপ্রিল) ফতুল্লা’র খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে আবাহনী লিমিটেড। তবে এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দলটির জন্য সুখকর হয়নি। কেননা শেখ জামাল স্পিনার তানবির হায়দারের স্পিন ঘূর্ণির সামনে লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া আবাহনীর আর কোন ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি।
এক বা দুজন নয়। তার স্পিন ফাঁদে পড়ে একে একে প্যাভিলিওনে ফিরেছেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬২), লিটন দাস (৬২), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৯) ও মোহাম্মদ মিঠুন (১১)।
তবে লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল সমান সংখ্যক ৬২ রানের বিনিময়ে সবক’টি উইকেটের বিনিময়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আবাহনী। দলটির হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন শুভাগত হোম।
শেখ জামাল বোলারদের মধ্যে তানবির হায়দারের ৪ উইকেট ছাড়াও আরও ৫ উইকেটের মধ্যে শাহাদাৎ হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক ২টি করে আর অপরটি পেয়েছেন জিয়াউর রহমান।
জবাবে ২৭০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ফজলে রাব্বির ৬৩ ও জিয়াউর রহমানের ৫৭ বলে ৭৩ রানের ঝড়ে ইনিংসে ৪ উইকেটের খরচায় ১২ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
আর এই জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের এবারের মৌসুমে এ পর্যন্ত খেলা ৪ ম্যাচের তিনটিতেই জয়ের দেখা পেল আব্দুর রাজ্জাক ও তার দল। ১৭ এপ্রিল লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে একমাত্র হার বরণ করে নিতে হয়েছিল দলটিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ২৬ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমএমএস