দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে চলতি বছরের আগস্টের শেষে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। যেখানে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকেই সফর শেষ হয়ে যাবে।
এ নিয়ে এখনও কোনো সূচি নির্ধারণ হয়নি। তবে ক্রিকইনফোর মতে, অজিরা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে ১৮ আগস্ট। পরে ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত চট্টগ্রামে একটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে। ২৭ থেকে ৩১ আগস্ট চট্টগ্রামেই প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে। যেখানে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ৪ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর।
এদিকে বিসিবি প্রধান পাপন জানান, আইসিসির গত সপ্তাহের সভায় পিভার তাকে সফর করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সফর নিশ্চিত’। পরে পাপন বলেন, ‘আইসিসির সভার শেষ দিনে তাদের চেয়ারম্যান আমাকে বলেছিলেন তার স্ত্রীর সঙ্গে তিনি আসবেন। প্রথমবারের মতো তার সঙ্গে আমার সিরিজ ও সফর নিয়ে কথা হয়েছে। আমি নিশ্চিত তিনি আসলে দলও আসবে। ’
পাপন অবশ্য দুই টেস্টের সময়সূচি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। কারণ দুই টেস্টের মাঝে ঈদ-উল-আযহা রয়েছে। ঈদের তিন দিনের সরকারী ছুটির সম্ভাব্য তারিখ ১ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর।
এ ব্যাপারে পাপন জানান, ‘দ্বিতীয় টেস্টটি ঈদের তৃতীয় দিন অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রথমটি ঈদের আগে। দুটি ম্যাচেরই তারিখ নিশ্চিত। তবে আমি এটি এখনই বলতে চাই না। সমস্যাটা হচ্ছে ঈদের জন্য পাঁচ দিনের বিরতি হয়ে যাচ্ছে। যা তাদের জন্য দীর্ঘ সময়ের। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেই ঈদের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় টেস্ট স্থগিত করবো। তাহলে আর দীর্ঘ বিরতি হবে না। ’
এদিকে পিভারের সঙ্গে পাপনের আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক মুখপাত্র অবশ্য অস্বীকারের সুরেই কথা বলেছেন। তার মতে বোর্ড এখনও নিরাপত্তার বিষয়টিই বড় করে দেখছে।
মূলত ২০১৫ সালে এই টেস্ট সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল। তবে সে সময় সফর চূড়ান্ত করেও শেষ দিকে এসে নিরাপত্তার অযুহাতে স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও কথা বলে। আবার সম্প্রতি টেস্টের বদলে ওয়ানডে সিরিজও খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে অজিরা। তবে এ ব্যাপারে একমত হয়নি বিসিবি।
সিএ’র মুখপাত্র বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে আশাবাদী। এ ব্যাপারে আমরা বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছি। তবে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ০৪ মে, ২০১৭
এমএমএস