গত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আর সাবেক ক্রিকেটারদের এমন দ্বন্দ্ব বিশ্ব ক্রিকেটে বিনোদনের রসদ যোগাচ্ছে।
পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি শেষবারের মতো একটি ম্যাচ খেলে মাঠে থেকেই বিদায় নিতে চেয়েছিলেন।
কিছুদিন আগেই আফ্রিদিকে বোর্ডের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধণা দিতে চেয়েছিলেন শাহরিয়ার। তবে, কিছুটা অভিমানের সুরেই আফ্রিদি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এখানেই শেষ নয়, শাহরিয়ার খান সদ্য বিদায় নেওয়া পাকিস্তানের টেস্ট দলপতি মিসবাহকে দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইমরান খানের থেকেও এগিয়ে রেখে মন্তব্য করেছিলেন। বরাবরই বিতর্ক ছড়ানো শাহরিয়ার খান মিসবাহর ক্যারিয়ার নিয়ে বলতে গিয়ে জানান, ‘আমি ইমরান খানের সঙ্গে মিসবাহর তুলনা করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু দাঁড় করাতে চাই না। ক্রিকেটের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ইমরানের থেকে আমি মিসবাহকে এগিয়ে রাখবো। ’
অথচ ইমরান খানকে পাকিস্তানের সেরা অধিনায়কের মর্যাদা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ইমরান খানকে পাকিস্তানের তথা বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার হিসেবেও ধরা হয়। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তার সময়ে পাকিস্তান ৪৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যেখানে পাকিস্তান ১৪টি ম্যাচ জিতেছিল। ৮টি ম্যাচ হারলেও ড্র করেছিল ২৬টি ম্যাচ। অপরদিকে, মিসবাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান ২০১০ সালের পর থেকে খেলছে। এই সাত বছরে তার নেতৃত্বে পাকিস্তান খেলেছে ৫৬টি টেস্ট ম্যাচ। যার মধ্যে ২৫টি জয়, ১৯টি পরাজয় আর ১১টি ম্যাচ ড্র করেছে মিসবাহ বাহিনী। ইমরান খানের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে পাকিস্তান ২৯.১৬ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে ১৬.৬৬ শতাংশ ম্যাচ। এদিকে, মিসবাহর নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত পাকিস্তান ৪৫.৪৫ শতাংশ ম্যাচ জয় পেলেও হেরেছে ৩২.৭২ শতাংশ ম্যাচ।
শাহরিয়ারের এমন মন্তব্যের পর মিয়াদাদ বলেছিলেন, ‘শাহরিয়ার ক্রিকেটের কিছুই বোঝেনা। তিনি মিথ্যাবাদী। ’ মিয়াদাদের এমন মন্তব্যের পর মুখ খুলেছেন শাহরিয়ার। তিনি যোগ করেন, ‘মিয়াদাদ গ্রেট ক্রিকেটার। কিন্তু, গ্রেটরা কখনো কোচ হিসেবে ভালো হতে পারেনা। মিয়াদাদ কোচ হিসেবে কখনোই ভালো ছিল না। সে ব্যর্থ। ’
মাঠের বাইরে নানা রকম কেলেঙ্কারি আর বিতর্ক পাকিস্তান ক্রিকেটকে বেসামাল অবস্থায় নিয়ে গেছে আরও আগেই। তার ওপর এবার যোগ হয়েছে কাঁদা-ছোড়াছুড়ি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ০৬ মে ২০১৭
এমআরপি