ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘কিলার-মিলার’ নাম হলো যেভাবে

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৭
‘কিলার-মিলার’ নাম হলো যেভাবে ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএল খেলতে এসেই নামের পাশে বসে গেছে ‘কিলার-মিলার’ উপাধি। ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের মেরে ফেলাই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলারের কাজ ছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে আগের মতো জ্বলে উঠতে দেখা না গেলেও মিলারের ব্যাটিং তাণ্ডবে ছত্রখান হতে হয়েছে বহু ম্যাচের বোলারদের।

কিন্তু, ঠিক কি কারণে তার নামটি ‘কিলার-মিলার’ হলো সেটি এখনও অজানা বিশ্ব ক্রিকেটপ্রেমীদের।

ক্রিকেটের জনপ্রিয় নিউজপোর্টাল ক্রিকইনফোর কাছে সে গল্পই শুনিয়েছেন ডেভিড মিলার।

মিলার জানান, ‘আমি ২০১৩ সালে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলতে নেমে ১০১ রান করেছিলাম। সে সময় আমি যখন ব্যাটিংয়ে ব্যস্ত, তখন কিছু দর্শক হাতে লেখা প্ল্যাকার্ডে ‘কিলার-মিলার’ লিখেছিল। আর সেটা মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয়েছিল। ব্যস, তখন থেকেই আমার নাম হয়ে যায় এটি। ’

মোহালিতে সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯০ রান। চেতশ্বর পুজারা ৫১, ক্রিস গেইল ৬১, কোহলি ১৪, ডি ভিলিয়ার্স ৩৮ আর মইসেস হেনরিকস ১৬ রান করেন। জবাবে, ১২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয়লাভ করে পাঞ্জাব।

সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে পাঁচ নম্বরে নামেন মিলার। দলীয় ৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাঞ্জাব। সেখান থেকে ১৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রাজাগোপাল সতীশ আর মিলার। মাত্র ৩৮ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন মিলার। তার বিধ্বংসী এই ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর ৭টি ছক্কার মার। মাত্র ৫৪ মিনিট ক্রিজে থেকেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ‘কিলার-মিলার’।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ০৭ মে ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।