তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেই সিরিজ নিশ্চিতের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে মিসবাহর দল। বার্বাডোসে মাত্র ১৮৮ রানের লক্ষ্যে ৮১-তে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
একদিকে মিসবাহ-ইউনিসের বিদায়ী ম্যাচ, অন্যদিকে পাকিস্তানের সামনে ও. ইন্ডিজের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি! ঐতিহাসিক উপলক্ষের ম্যাচটি নিশ্চয়ই মনেপ্রাণে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবে তারা।
পাকিস্তান ক্রিকেটে মিসবাহ ও ইউনিসের অবদান অপরিসীম। বয়সে ইউনিসের চেয়ে তিন বছরের বড় ৪২ বছর বয়সী মিসবাহ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য ইউনিসের অভিষেক হয় আগে। ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে তিনি।
করাচিতে ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ইউনিস। পরের বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অকল্যান্ড টেস্টে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে জড়ান মিসবাহ।
টেস্টে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইউনিস। প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে সাদা পোশাকে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এ ডানহাতি ব্যাটিং জিনিয়াস। এখন পর্যন্ত ১১৭ টেস্টে ৫২.২৪ গড়ে ১০০৪৬ রান করেছেন। এ ফরমেটে ৩৪টি সেঞ্চুরির মালিক তিনি। অর্ধশতক ৩৩টি।
৭৪ টেস্টে মিসবাহর নামের পাশে ৫১৬১ রান। গড় ৪৬.৯১। ৩৮টি ফিফটির পাশাপাশি সেঞ্চুরি ১০টি। ২০১৫ বিশ্বকাপ শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন তিনি। ১৬২ ওডিআইতে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩.৪০ গড়ে ৫১২২। রঙিন পোশাকে সেঞ্চুরির স্বাদ পাননি মিসবাহ। ওয়ানডেতে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন ৪২ বার। আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ ম্যাচে করেন ৭৮৮। বলা বাহুল্য, মিসবাহর অধিনায়কত্বে ২০০৯ টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ২৬৫ ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন ইউনিস। ৩১.২৪ গড়ে রানসংখ্যা ৭২৪৯। ৪৮টি ফিফটির সঙ্গে ৭ বার সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে ২৫ ম্যাচে দেখা গেছে তাকে। রান ৪৪২।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ১০ মে, ২০১৭
এমআরএম