বৃহস্পতিবার (১১ মে) লাঠির আঘাতে আহত হওয়ার পর শুক্রবার (১২ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজনের মৃত্যু হয়।
সুজন উজিরপুর উপজেলার ধামুরা বাহেরঘাট গ্রামের অনিল চন্দ্র হালদারের ছেলে এবং ধামুরা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
বৃহস্পতিবার উজিরপুরের ধামুরা বন্দরে তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন ওই এলাকার একটি স্বর্ণের দোকানের নয়ন বিশ্বাস। হামলার পরই তাকে আটক করেছে পুলিশ। নয়ন উজিরপুর উপজেলার জল্লা গ্রামের নারায়ণ বিশ্বাসের ছেলে।
উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, কিছু দিন আগে ক্রিকেট খেলা নিয়ে সুজন ও নয়নের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয়ভাবে সেটি মীমাংসা করে দেওয়া হয়।
কিন্তু ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ধামুরা বন্দরে সুজনকে পেয়ে তার ওপর হামলা চালান নয়ন। সুজনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা নয়নকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপার্দ করে। একইসঙ্গে সুজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায়।
রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুজনকে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এসআই তৌহিদুজ্জামান আরও জানান, সুজনের বাবা অনিল চন্দ্র হালদার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে নয়ন বিশ্বাসকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
এমএস/এইচএ/