রিকশা থামিয়ে সামনে এগোতেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলো। কাছাকাছি এসে দেখতে পাওয়া গেলো, নিম্ন ভূমিতে (খুব ঢালু মাঠ) চলছে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
মাঠটি স্বাভাবিক ভূমি থেকে নিচু হওয়ায় দূর থেকে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। বসে থাকা তরুণদের সাথে কথা বলে জানতে পারা গেলো এটি একটি প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। যার নাম ‘লিলি প্রিমিয়ার লীগ’।
ক্রিকেটে অবহেলিত কেরানীগঞ্জ
এই ক্রিকেট টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন লিলি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও শিক্ষক মো. আলাউদ্দীন।
এই টুর্নামেন্টের প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, আজকে আমাদের তরুণ সমাজ ও ছাত্ররা বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সেখান থেকে ফেরাতে সবসময় তাদের ব্যস্ত রাখা প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তা থেকে আমরা নিয়মিত টুর্নামেন্টের আয়োজন করি।
সবার জন্য উন্মুক্ত এই খেলার মাঠটি সম্পর্কে খোঁজ করে জানা যায়, মাঠটি শত বছরের পুরোনো। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের মহল্লার মাঠ হিসেবেই জেনে এসেছেন। তবে মাঠের উৎস সম্পর্কে ধারণা নেই কারো। লোকমুখে প্রচলিত আছে, শতবছর আগে কোনো এক ব্যক্তি এই জমি খেলার মাঠের জন্য দান করে গেছেন।
অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির দান করে যাওয়া মাঠ সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিনি জন্মের পর থেকে এই মাঠটি দেখে আসছেন। মাঠে খেলাধুলা করেই তিনি বড় হয়েছেন। এখন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ।
তিনি আরও জানান, তিনি ছাড়াও এই মাঠে তার সন্তানরা খেলেছেন। এখন তার নাতির সন্তানরা খেলছেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সবার জন্য যেন মাঠটি সুরক্ষিত থাকে এমনটাই প্রত্যাশা ফরহাদ হোসেনের।
শতবর্ষী মাঠটির দুই পাশে বিল্ডিং একপাশে পিচঢালা পথ অপর দিকটি খোলামেলা। কিছুদিন পরে সেখানে গড়ে উঠবে উঁচু দালান। যার জন্য সেখানে আনা হয়েছে ইট বালু সিমেন্ট।
স্থানীয় বাসিন্দারা চান শতবর্ষী এই মাঠ যেন হাজার বছর সুরক্ষিত থাকে। কোনোভাবেই তা যেন দখল না হয়ে যায়।
সময় বাঁচায় চৌরাস্তার কাঁচাবাজার
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ১৩ মে, ২০১৭
এএম/আইএ