ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সতীর্থদের প্রতি আফ্রিদির শ্রদ্ধা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
সতীর্থদের প্রতি আফ্রিদির শ্রদ্ধা ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে চলে এসেছেন মিসবাহ উল হক ও ইউনিস খান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডোমিনিকা টেস্ট (১০ মে শুরু) দিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চলেছেন এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। দেশের ক্রিকেটে অসামান্য ভূমিকা রাখায় পাকিস্তানের সিনিয়র তারকা শহীদ আফ্রিদি তাদের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন।

অনেকটা ক্ষোভের বশেই সম্প্রতি ক্রিকেটের সব ফরমেটকে বিদায় বলে দেন আফ্রিদি। নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায় নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও দীর্ঘদিনের দুই সতীর্থ মিসবাহ-উল-হক ও ইউনিস খানের ক্ষেত্রে এমনটা চাইছেন না আফ্রিদি।

বোর্ডের পক্ষ থেকে চাইছেন তাদের যেন সম্মান জানানোর ভালো ব্যবস্থা করা হয়।

পাকিস্তান ক্রিকেটে মিসবাহ ও ইউনিসের অবদান অপরিসীম। বয়সে ইউনিসের চেয়ে তিন বছরের বড় ৪২ বছর বয়সী মিসবাহ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য ইউনিসের অভিষেক হয় আগে। ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে তিনি। করাচিতে ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ইউনিস। পরের বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অকল্যান্ড টেস্টে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে জড়ান মিসবাহ।

এক ভিডিও বার্তায় মিসবাহ ও ইউনিসের বিদায় নিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি তাদের দু’জনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পাকিস্তানের প্রতিটি মানুষ জানে তারা দেশের জন্য কতটা সেবা করেছেন। নিঃস্বার্থভাবে পাকিস্তান ক্রিকেটের সেবা করায় দেশের জনগণ এবং আমি নিজ থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এই দুই গ্রেট ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেছিলেন। তারা আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের সব সমস্যা সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের গঠন প্রণালী পরিবর্তন ও উন্নতির জন্য বোর্ডের উচিত তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো। ’

টেস্টে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইউনিস। প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে সাদা পোশাকে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এ ডানহাতি ব্যাটিং জিনিয়াস। এখন পর্যন্ত ১১৭ টেস্টে ৫২.২৪ গড়ে ১০০৪৬ রান করেছেন। এ ফরমেটে ৩৪টি সেঞ্চুরির মালিক তিনি। অর্ধশতক ৩৩টি।

৭৪ টেস্টে মিসবাহর নামের পাশে ৫১৬১ রান। গড় ৪৬.৯১। ৩৮টি ফিফটির পাশাপাশি সেঞ্চুরি ১০টি। ২০১৫ বিশ্বকাপ শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন তিনি। ১৬২ ওডিআইতে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩.৪০ গড়ে ৫১২২। রঙিন পোশাকে সেঞ্চুরির স্বাদ পাননি মিসবাহ। ওয়ানডেতে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন ৪২ বার। আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ ম্যাচে করেন ৭৮৮। বলা বাহুল্য, মিসবাহর অধিনায়কত্বে ২০০৯ টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান।

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ২৬৫ ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন ইউনিস। ৩১.২৪ গড়ে রানসংখ্যা ৭২৪৯। ৪৮টি ফিফটির সঙ্গে ৭ বার সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে ২৫ ম্যাচে দেখা গেছে তাকে, রান ৪৪২।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ১৩ মে, ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।