হায়দ্রাবাদের দুই সতীর্থকে বিগ ব্যাশের মঞ্চে খুব শিগগিরিই দেখতে চান সিডনি সিক্সার্স দলপতি হেনরিকস। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি এখনও নেটে তাকে (রশিদ) পাইনি! সে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে এবং স্পিন করতে পারে।
বাংলাদেশের হয়ে ১৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৭ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজকেও বিগ ব্যাশের দলে দেখতে চান হেনরিকস, ‘সিডনি সিক্সার্স অবশ্যই দুর্দান্ত সব বোলার দলে টানার কথা চিন্তা করবে। আমি সিডনির দলপতি হিসেবে রশিদের মতো এমন লেগ স্পিনারকে চাই। শুধু রশিদ নয়, মোস্তাফিজের বেলাতেও তাই। তারা দু’জনই বিগ ব্যাশে খেলার যোগ্যতা রাখে। তারা দলে প্রভাব ধরে রাখতে পারদর্শী। ’
প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলতে গিয়ে বাজিমাত করেন মোস্তাফিজ। গত আসরে আইপিএলের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হয়েছিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। আইপিএল থেকে ফিরেই ইংলিশ কাউন্টি লিগের খেলতে গিয়েছিলেন। নাম উঠেছিল ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগেও। বিগ ব্যাশের দলগুলোও আগ্রহ দেখিয়েছিল মোস্তাফিজকে নিয়ে। পাকিস্তানের সুপার লিগ, সিপিএলের আসরেও মোস্তাফিজের খেলার কথা ছিল। তবে, কাউন্টিতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ায় খেলা হয়নি কোনোটিতেই।
গত আসরে ১৬ ম্যাচে মোস্তাফিজ ২৪.৭৬ গড়ে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। এবার মোস্তাফিজ আইপিএলের আসরে খেলেছেন মাত্র একটি ম্যাচ। ২.৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। আর আইসিসির সহযোগী দেশ আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান দুর্দান্ত ফর্মে বল করে যাচ্ছেন।
হায়দ্রাবাদের এই দুই সতীর্থকে কাছ থেকে পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন সিক্সার্সের দলপতি হেনরিকস। তিনি যোগ করেন, ‘রশিদ আর মোস্তাফিজের সতীর্থ হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। বাংলাদেশের এই পেসার আর আফগানিস্তানের এই স্পিনার বিশ্বের যেকোনো লিগে দারুণ করার ক্ষমতা রাখে। আমি নিশ্চিত তারা বিগ ব্যাশে খেলতে গেলে সেটা ক্রিকেটের জন্যই দারুণ হবে, বিশেষ করে বিগ ব্যাশের মতো আসরের। ’
হেনরিকস আরও যোগ করেন, ‘মোস্তাফিজ-রশিদ উন্নয়নশীল ক্রিকেটীয় দেশ থেকে এসেছে। তবে, বিগ ব্যাশের দলগুলো তাদের দলে টানতে কোনো সংকোচ করবে না বলে আমি মনে করি। বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে তারা খুব ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে পারে। তারা বিগ ব্যাশে খেলার যোগ্য। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ১৫ মে ২০১৭
এমআরপি