অবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বোর্ডের কঠোর অবস্থানের পর পাল্টা হুমকি দেন ক্রিকেটাররা।
বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের মতের অমিল খুঁজে পায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। এসিএ থেকে জানানো হয়, বোর্ডের প্রস্তাবিত বেতনকাঠামো যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য অসম্মানজনক। এটা কোনো ক্রিকেটার মেনে নেবে না, বরং বোর্ডের হুমকিতে সাড়াও দেবে না ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটাররা সিএর আয়ের ভাগ আর পাবে না এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রস্তাবিত চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে সিএকে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছে এসিএ।
আর সিএ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রস্তাবিত বেতনকাঠামো মেনে না নিলে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর কোনো ম্যাচ খেলতে দেওয়া হবে না ক্রিকেটারদের। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন চুক্তিতে সই না করলে ক্রিকেটারদের বেকার বসে থাকতে হতে পারে। নতুন প্রস্তাব ক্রিকেটাররা না মানলে বোর্ড তাদের ৩০ জুনের পর থেকে কোনো বেতন দেবে না।
ওয়ার্নার জানান, ‘আমি সত্যিই আশা করি, বোর্ড একটি সমঝোতায় আসবে। আর ব্যাপারটি যদি চূড়ান্ত সীমায় যায়, বোর্ড হয়ত অ্যাশেজের জন্য কোনো দলই পাবে না। তাতে, গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট হবে না। সবকিছুই এখন তাদের (বোর্ডের) হাতে। আমরা এমন কিছু দেখতে চাই না। ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বোঝাপড়ার দায়িত্ব বোর্ডের। ’
অস্ট্রেলিয়ায় না খেললে ভবিষ্যতে কোথায় খেলবেন তাও ঠিক করে ফেলেছেন ওয়ার্নাররা। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কোথাও ক্রিকেট খেলার পথ খুঁজে বের করতে হবে আমাদের। ক্যারিবীয় ক্রিকেট লিগ এবং ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি আসরে খেলতে পারি আমরা। আমরা অবশ্যই দেশের হয়ে যত বেশি সম্ভব খেলতে চাই। কিন্তু আমাদের যদি চাকরিই না থাকে, তাহলে অন্য কোথাও গিয়ে খেলার পথ তো বের করতেই হবে। ’
এদিকে, মিচেল স্টার্ক টুইট করেছেন, ‘ছেলে এবং মেয়েদের বেশ আকর্ষণীয় একটি অ্যাশেজ বানিয়ে ফেলুন। ’ রিটুইটে শেন ওয়াটসন লিখেছেন, ‘ভালো বলেছ, কোনো খেলোয়াড় ছাড়া অবশ্যই একটি আকর্ষণীয় অ্যাশেজ হতে যাচ্ছে। ’
ক্রিকেটারদের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া এমন চুক্তি নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্ব শুরু হলে ওয়ার্নার, স্মিথ, ম্যাক্সওয়েল, কামিন্স, হ্যাজেলউডরা ধর্মঘটের ডাক দিতে পারেন। তাতে বাজে প্রভাব পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে। এ বছর আগস্টে অস্ট্রেলিয়া দলের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর রয়েছে। এরপর রয়েছে নিজেদের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ। নভেম্বর থেকে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা থাকছে। আর দ্বন্দ্বের সমাধান না হলে ৩০ জুনের পর অস্ট্রেলিয়া দলের চেহারা কি হতে পারে তা সময়ই বলে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, ১৬ মে ২০১৭
এমআরপি